চাঁদপুরের ইলিশ খ্যাতি দেশকে ছাড়িয়ে এখন বিশ্বজুড়ে। দেশের বাইরেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। মাছের পাশাপাশি ইলিশের ডিমের চাহিদাও কম নয়। সাগর ও নদী থেকে আমদানি কম হওয়ায় দাম চড়া ডিমের। কেজিতে দু’তিনশ’ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়।
৪-৫ টি মা ইলিশ কাটার পর প্রায় ১ কেজি ডিম সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে এ ডিমের চাহিদা ই-কমার্সের সুবাদে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নানা কৌশলে ডিম চলে যাচ্ছে প্রতিবেশি দেশ ভারতে। কিন্তু এ অপরিকল্পিত ডিম সংগ্রহে সরকারি-বেসরকারি সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যার ফলে এটি ইলিশ সম্পদ স্থায়ীভাবে ধ্বংসের কারণ হিসেবে দাঁড়াতে পারে।
দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে প্রায় ৪শ’-এর অধিক প্রজাতির ছোট-বড় মাছ পাওয়া গেলেও মোট উৎপাদিত মাছের এক দশমাংশের বেশি হলো ইলিশ। আর সেটি সম্ভব হয়েছে ইলিশের বৃহৎ প্রজনন কেন্দ্র ও অধিকহারে ডিম দেয়ার কারণে। একটি মা ইলিশ প্রতি মৌসুমে একবারে সর্বোচ্চ ১ থেকে ২.৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ থেকে ২৩ লাখ পরিমাণ ডিম পাড়ে।
তাই ইলিশের ডিম সংগ্রহের বিপরীতে এটিকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় প্রজননসহ মা ইলিশের রক্ষার পাশাপাশি ডিম রক্ষায়ও এগিয়ে আসা জরুরি। নচেৎ যে হারে দেশ-বিদেশে ইলিশের চাহিদা বাড়ছে সে হারে ইলিশ উৎপাদন হবে না।
আর পরিকল্পিতভাবে ইলিশ রক্ষা করা না গেলে এবং অপরিকল্পিতভাবে ডিম সংগ্রহ অব্যাহত থাকলে এ পেশায় নিয়োজিত খেঁটে খাওয়া মানুষ ও এ সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত লাখো শ্রমিক কর্মসংস্থান হারাবে।
কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল,২২আগস্ট, ২০২১;