ওড়িয়া সিনেমার জনপ্রিয় খল অভিনেতা রাইমোহন পারিদা। শতাধিক ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। পারিদাকে দেখা গেছে ১৫টি বাংলা ছবিতেও। থিয়েটারেও তিনি ছিলেন সমান জনপ্রিয়। তবে ৫৮ বছর বয়সী এই অভিনেতার পথচলা শেষ হলো আকস্মিকভাবে। জনপ্রিয় এই অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে আজ।
ভুবনেশ্বরের প্রাচী বিহার এলাকার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন এ অভিনেতা। শুক্রবার সকালে সেখানেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের কাছে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানাতে অনেকেই পারিদার বাড়িতে ভিড় করেন। অভিনেতার সঙ্গে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করা সিদ্ধান্ত মহাপাত্র বলেন, ‘তাঁর মতো একজন হাসিখুশি মানুষ এটা করেছেন বিশ্বাস করা কঠিন। যিনি জীবনে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছেন। নিজের পেশায় অত্যন্ত সফলও ছিলেন।’
গত সপ্তাহেই রাইমোহন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের। তিনি জানান, তখন কোনোভাবেই রাইমোহনকে অবসাদগ্রস্ত দেখায়নি। আরেক অভিনেতা শ্রীতাম দাস বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে “জিরো থেকে হিরো” হয়ে ওঠা পারিদা আত্মহত্যা করে মারা যেতে পারেন।’
পারিদার প্রতিবেশীরা বলেছেন যে বৃহস্পতিবারও তাঁদের সঙ্গে অভিনেতা দেখা করেছে। তখন তাঁকে স্বাভাবিকই মনে হয়েছিল। পারিদার সঙ্গে সবার ভালো সম্পর্ক ছিল বলেও জানান প্রতিবেশীরা।
১৯৬৪ সালে জন্ম নেওয়া রাইমোহন পারিদা অভিনয়জগতে প্রবেশ করেন ১৯৮৬ সালে। ‘সিঙ্গা বাহিনী’, ‘রানা ভূমি’, ‘কুলাননন্দন’-এর মতো ছবিতে দেখা গেছে তাঁকে। এ ছাড়া করেছেন ‘বাঘিনী’, ‘মেন্টাল’সহ অনেক জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা।