অসুস্থ শিশুর চিকিৎসায় চাঁদপুর পৌর মেয়রের অনুদান

চাঁদপুরে অসহায় এক পরিবারের শিশুর হাটের হৃদপিন্ড ফুটার চিকৎসার জন্য নিজ তহবিল থেকে ১লাখ টাকা সহায়তা কররেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। মেয়র জিল্লুর রহমানের এ মানবিক সহায়তা ও উদারতায় শিশু ইয়ামিন গাজী (৬) অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পৃথিবীর আলো দেখার স্বপ্ন দেখছে। মেয়র জিল্লুর রহমান একটি জীবন বাচাঁতে, একটি ফুল ফোটাতে এগিয়ে এসে এক বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে দেখালেন।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) শেষ বিকেলে চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল তার পৌরসভার কার্যালয়ে জন্ম থেকে হৃদপিন্ড ফুটা শিশু ইয়ামিনের পিতা মো: আলমগীর হোসেন গাজীর হাতে নগদ ১লাখ টাকা সহায়তা হিসেবে তুলে দেন।

এ সময় চাঁদপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে শিশু ইয়ামিন গাজী ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের (কার্ডিওলজী ) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা: সোমায়রা নাসরিনের তত্তাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসক বলেছে শিশুটির চিকিৎসায়( অপারেশন) করাতে ৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এ কথা শুনে চাঁদপুরের জননন্দিত নেতা ও পৌর মেয়র তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে শিশু ইয়ামিনের চিকিৎসায় ও তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন বাস্তবায়নে জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন এবং ১লাখ টাকা দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মেয়রের এ ধরনের মানবিক উদারতায় সকলের কাছে তিনি প্রশংসার দাবীদার হয়েছেন। অনেকে বলেছেন,এ সমাজে কে বর্তমানে কার জন্য করে। তবুওতো মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বড় ধরনের এক উদারতা দেখালেন একটি জীবন বাচাঁতে, একটি ফুল ফোটাতে।

শিশু ইয়ামিন পৌর শহরের পুরানবাজার ২নং-ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী আলমগীর গাজী ও মাতা:- শাহনাজ বেগমের সন্তান। সে জন্ম লগ্ন থেকে দীর্ঘ ৬টি বছর হৃদপিন্ড ফুটার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্টভোগ করে যাচ্ছে।

তার গরীব পিতা আলমগীর গাজী জানান, আমার ছেলে জন্মের পর থেকে হাটের হৃদপিন্ড ফুটার কারনে সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যা’অর্থছিল তাদিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তার পরও তাকে সুস্থ করতে পারিনি।

ঢাকা পপুলার হাসপাতাল ও হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎক আব্দুর রাজ্জাকের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যাই। চিকিৎসক জানিয়েছে,তার হৃদপিন্ড ফুটার অপারেশন করতে কয়েক লাখ টাকা লাগবে। তাই সমাজের অনেক বৃত্তবানের কাছে গিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছি। কেহ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি।

শিশু ইয়ামিনের পিতা আলমগীর গাজী জানান, বর্তমানে ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ( শিশু কার্ডিওলজী ) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা: সোমায়রা নাসরিন তার ছেলের হাটের হৃদপিন্ড ফুটার চিকিৎসা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন,আগামী ২২ডিসেম্বর শিশু ইয়ামিনকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য। শিশুর চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে।

২২ডিসেম্বর ভর্তি করলে সকল পরিক্ষা নিরিক্ষার পর তাকে ২৬ ডিসেম্বর হাটের হৃদপিন্ড ফুটার চিকিৎসার জন্য অপারেশন করা হবে। আলমগীর গাজী জানান,তার ছেলের চিকিৎসায় চাঁদপুরের মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল স্যার ১লাখ টাকা দিয়েছে,চিকিৎসার জন্য। বাকী আরো দেড় লাখ টাকা তার প্রয়োজন। কেহ যদি তার শিশু ইয়ামিনের চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন,তাহলে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। তাই সমাজের বৃত্তবানদের সহায়তা কামনা করছেন তিনি।

স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *