আশিক বিন রহিম দীর্ঘ ১৯ বছর পর সম্মেলনের মধ্যদিয়ে চাঁদপুর সদর ও পৌর আওয়ামী লীগের নয়া কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আলী এরশ্বাদ মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন রাধা গোবিন্দ গোপ, সাধারণ সম্পাদক করা হয় আমিনুর রহমান বাবুলকে। অথ্যাৎ সাবেক সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকরাই পূনরায় সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
৫ ডিসেম্বর সোমবার সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে
শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নয়া কমিটি ঘোষণা করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে উৎসবমুখর আয়োজনে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে এ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনকে গিরে চাঁদপুরে ছিলো সাজ সাজ রব। পুরো শহর যেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত ছিলো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি এমপি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ম ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু নাঈম পাটোওয়ারী দুলাল।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের টিম প্রধান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, সদর উপজেলার টিম প্রধান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জি. আব্দুর রব ভূঁইয়া এবং পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব ও পরিচালনা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল।
ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই অগ্রযাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য- উনন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপ্তার নেত্রী জননেত্র শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশেন মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, আয় বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা প্রত্যেকের কস্ট বুঝেন, প্রত্যেকটা মানুষের কস্ট বুঝেন। তাই তিনি এদেশের মাটি ও মানুষের আস্থাভাজন নেত্রী।
দেশের এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আবারো উঠেপড়ে লেগেছে। তারা একাত্তরের হত্যাকারি, তারা ১৫ আগস্ট ও ২১ শে আগস্টের হত্যাকারি। তারা আজ আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখায়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই এই অপশক্তিকে প্রতিহত করবো। আমাদের ঐক্যই আমাদের শক্তি, জনগণই আমাদের শক্তি। চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা যা দিয়েছে আমদের ঐক্যবদ্ধ থেকে তার একটু কৃতজ্ঞতা শিকার করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, বলেন, চাঁদপুর সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ জেলা। শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতিতে এ জেলা এগিয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় রাজনীতিতে চাঁদপুর অনেক শক্তিশালী।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে আপনারা অনেক মন্ত্রী পেয়েছেন। বর্তমানে দু’জন মন্ত্রী রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২২ সাল পর্যন্ত চাঁদপুরে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দু’হাত ভরে চাঁদপুরবাসীকে দিয়েছেন। তার প্রতিদান আপনাদের দিতে হবে।
আপনারা অহংকারের ভুগবেন না। নির্বাচন করার জন্য এখন থেকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে উন্নয়নের কথা বলতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখেও হাসি ফোটানোর রাজনীতি করেন জননেত্রী শেখ হাসি না। তিনি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছেন।