কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিফর্ম না থাকায় ৭ শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ এমদাদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে ।
এব্যাপারে ২০২১ সালের বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিব বিন খায়ের জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাসেল স্যার আমাদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। এসময় শরীরচর্চা শিক্ষক এমদাদ উল্লাহ স্যার শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেই সাকিন মাহমুদ শৈশব, রিফাত হোসেন, রাকিব হোসেন, নাজাফউদ্দীন, আবু বক্কর সিদ্দিক সজীব এবং মোঃ সাজেদুল ইসলামসহ আমাকে ইউনিফর্ম না থাকায় শ্রেণি কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে রসায়নের শিক্ষক রাসেল স্যার আমাদের সাময়িক ক্ষমা করার জন্য এমদাদ স্যারকে অনুরোধ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাদেরকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দিয়ে শ্রেণি কক্ষ ত্যাগ করার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ এমদাদ উল্লাহ’র সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় আমি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মিটিংয়ে ছিলাম। পরে বিদ্যালয়ে এসে ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী আশ্রাফ খান জানান, করোনার কারনে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরার বাধ্যতামূলক কোন নির্দেশনা আসেনি। কিছুটা শিথিল রাখতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দীপায়ন দাস শুভ জানান, এই মাত্র আপনার মাধ্যমে সংবাদটি শুনেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, স্কুল ইউনিফর্ম নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি। তিনি গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুর স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইতিপূর্বে শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ এমদাদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে তার কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্নফাঁস, শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ, মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে বোরকা পরে আসতে নিষেধ করে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন।
স্টাফ রিপোর্টার