উত্তরে শৈত্যপ্রবাহ : কনকনে ঠান্ডা চাঁদপুরে

ফরিদুল ইসলাম দেশের উত্তরাঞ্চলের ৬ জেলায় মৃদু ত্যৈপ্রবাহ বয়ে চলেছে। আর এর খানিকটা এসে ঝেঁকে ধরেছে চাঁদপুরকেও। গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরের সর্বত্র কনকনে শীত লক্ষ করা যাচ্ছে। মাঝে মধে মিলছে না সূর্যের দেখাও। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন চাঁদপুরের অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) চাঁদপুরে শৈত্যপ্রবাহ দেখা না গেলে তীব্র শীতে চাঁদপুরের মানুষ জবুথবু অবস্থায় রয়েছে। ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদেরকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। চাঁদপুরের হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেছে।

তবে শীত সহিষ্ণু ঠান্ডা প্রেমীরা রয়েছেন অত্যন্ত ফুরফুরে মেজাজে। শীতের পিঠায় আসক্তরা পিঠার দোকানে ভীড় করলেও খেজুরের রসের জন্য হাহাকার সবার মধ্যে বিরাজ করতে দেখা যায়।

এদিতে দেশের ৬ জেলায় জেঁকে বসছে শীত, ফের বইতে শুরু করেছে শৈত্যপ্রবাহ। নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, পাবনা, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গা- এই ছয় জেলার উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

আগামী তিনদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কোথাও কোথাও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। একই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ নতুন অঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, পাবনা, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৬, ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৫, বদলগাছীতে ৯ দশমিক ৪, রাজারহাটে ৯ দশমিক ৮, চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর সাইটে দেখা গেছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

চলতি শীত মৌসুমে ১৯ ডিসেম্বর ১০ জেলায় প্রথম মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। দুদিনের ব্যবধানে তা দূরও হয়ে যায়। এরপর ৩১ ডিসেম্বর দুটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেয়, সেই শৈত্যপ্রবাহও ২ জানুয়ারি চলে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *