এবারও দেশ সেরা করদাতা হাজী কাউছ মিয়া

স্টাফ রিপোর্টার এবারও সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন চাঁদপুরের কৃর্তীসন্তান পুরান দেশের প্রবীন ব্যবসায়ী হাজী মো. কাউছ মিয়া। তিনি হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী। ২০২১-২২ করবর্ষে ‘সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক’ শ্রেণিতে এই ব্যবসায়ী সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। আগের কয়েক বছর অবশ্য তিনি ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এমনকি গত বছর মুজিব বর্ষের সেরা করদাতাও হয়েছিলেন কাউছ মিয়া। গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাঁকে এই সম্মাননা দিয়েছিল।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও এনবিআরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে করবাহাদুরের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের সময় শীর্ষ করদাতা হয়েছিলেন।
সব মিলিয়ে কাউছ মিয়া ২০ বার দেশসেরা করদাতার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা লাভের অনন্য মাইলফলক ছুঁয়েছেন। দেশের রাজস্ব খাতে ২০২২ অর্থ বছর পর্যন্ত দেশসেরা করদাতা হবার এই সাফল্য অর্জন করেন।
২০০৮ সাল থেকে কাউছ মিয়া দেশে ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতাদের একজন। গত ৬৪ বছর যাবত কর দিয়ে আসছেন তিনি। প্রথম কর দেন ১৯৫৮ সালে।
চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামে (ব্রিটিশ আমলের ত্রিপুরা) ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কাউছ মিয়া। তাঁর বাবার নাম মরহুম হাজী আব্বাস আলী মিয়া ও মাতা মরহুমা হাজী মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (জমিদার কন্যা)।
বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরান বাজারে স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করেন । দেশের প্রসিদ্ধ এই ব্যবসায়িক এলাকায় তৎকালীন সময়ে তাঁর ৬ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।
পরে ধীরে ধীরে ১৮টি ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট ছিলেন। এরপর ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন। ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন এবং তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি।
বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৩ বছর। দেশের প্রবীণ এই ব্যবসায়ী শীর্ষ করদাতার টানা রাস্ট্রীয় পুরস্কার অর্জনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অন্যন্য রেকর্ড গড়েছেন।একজন নিঃস্বার্থ সমাজসেবী ও দানবীর হিসেবে সারা দেশে কাউছ মিয়ার বেশ সুনাম।তিনি আট জমিদারের নাতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *