নকল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে আসল মোড়কে, নজরদারি জরুরি

হুবহু ‘আসল’ মোড়কে ক্যান্সার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে একটি চক্র। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। অভিযোগ রয়েছে, এ চক্রকে সহযোগিতা করছে অতি মুনাফালোভী কতিপয় ফার্মেসি মালিক।

এসব নকল ও ভেজাল ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ হওয়ার বদলে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে নানারকম রোগ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অভিযানে বিভিন্ন সময় নকল ওষুধসহ চক্রের সদস্যরা ধরা পড়লেও তাদের তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না। এজন্য ওষুধ তৈরির অবৈধ কেমিক্যাল বিক্রি বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোপন বাজারে ওষুধের কেমিক্যাল বিক্রি বন্ধ করা গেলেই নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী চক্রকে দমানো সম্ভব। কারণ অবৈধভাবে কেমিক্যাল কিনতে না পারলে এদের দ্বারা নকল ওষুধ উৎপাদন সহজ হবে না। তারা বলছেন, ওষুধ তৈরির মূল উপাদান দুটি। একটি এপিআই, অপরটি এক্সিপিয়েন্স। এপিআই হল ওষুধের রাসায়নিক। এটি ছাড়া ওষুধ উৎপাদন সম্ভব নয়।

জাতীয় ওষুধ নীতিমালা-২০১৬ অনুযায়ী খোলাবাজারে ওষুধের কেমিক্যাল বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নকল মানেই তো ক্ষতিকারক। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এসব নকল ওষুধে মূল উপাদান থাকেই না। তাই এসব খেলে কোনো বড় ক্ষতি হয়তো সব সময় হবে না, কিন্তু রোগীরও কোনো উপকার হবে না। তবে ওষুধগুলোতে মূল উপাদান যদি স্বল্পমাত্রায় বা মানহীন অবস্থায় ব্যবহার করা হয় তাহলে তা রোগীর জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।

এদিকে ১৮ নভেম্বর বহস্পতিবার ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৪৬টি ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।এর মধ্যে ১৭টি হোমিও ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি, চারটি হার্বাল ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি, ৫টি এলোপ্যাথিক, ৬টি ইউনানি এবং ১৪টি আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি রয়েছে।এসব কোম্পানির সব প্রকার ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে বলে সংসদে জানান তিনি।

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল॥

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *