কচুয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৩৮, অন্যান্য ১৮

চাঁদপুরের কচুয়ায় পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরষিদ (ইউপি নির্বাচন) নির্বাচনে ১২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন ১২জন। তন্মেধ্যে ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছালাম সওগদার বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন।

এছাড়া অপর ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ৩৮ জন এবং বিএনপির ও অন্যান্য ১৮জন জন সহ মোট ৬৭ জন প্রার্থী মাঠে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।

জানা গেছে, ১নং সাচার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিন্নত আলী তালুকদার মিনু। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন (ঘোড়া),আওয়ামী লীগ নেতা এসএম শুভ (চশমা) ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা নিয়ে ইমরান হোসেন চৌধুরী।

২নং পাথৈর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়াজী। ওই ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল (ঘোড়া),আওয়ামী লীগ নেতা আলী আক্কাছ মোল্লা (আনারস),সোলেমান লিটন (মোটরসাইকেল),তারেক হাবীব (অটোরিক্সা),মিজানুর রজমান চৌধুরী (রজনীগন্ধা) ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মিয়াজী (চশমা),বিএনপি নেতা গোফরান উদ্দিন (টেলিফোন) ও ইসলামী আন্দোলন ইয়াছিন মিয়া (হাতপাখা)।

৩নং বিতারা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার (ঘোড়া),ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ইসমাইল ভূঁইয়া (আনারস),ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ (চশমা),বিএনপি নেতা শহীদুল্লাহ (মটরসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলন রহমত উল্যাহ (হাতপাখা)।

৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আব্দুল আহাদ। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন (মোটরসাইকেল),উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাবীব মজুমদার জয় (ঘোড়া),উপজেলা যুবলীগ লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল (আনারস),আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন সরকার (চশমা),উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন স্বপন (অটোরিক্সা) ও ইসলামী আন্দোলন হাজী নুরুল ইসলাম দুলাল (হাতপাখা)। যদিও এ ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন স্বপন বলছেন তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন কিন্তু বাস্তবে তার কোনো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়নি। ফলে প্রতীক বরাদ্দ হয় এবং বিচ্ছিন্ন ভাবে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারনাও দেখা যায়।

৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ আজাদ (আনারস),আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন আলম (মোটরসাইকেল),উপজেলা বিএনপি নেতা সাইফুর রহমান বাহাদুর (ঘোড়া) ও ইসলামী আন্দোলন মাসুদ রানা (হাতপাখা)।

৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম আখতার হোসাইন। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর (আনারস),জাতীয় পার্টি নেতা আবুল বাসার (নাঙ্গল),স্বতন্ত্র প্রার্থী নেছার আহমেদ (চশমা) ও ইসলামী আন্দোলন মহিব উল্যাহ (হাতপাখা)।

৭নং কচুয়া সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজগর প্রধান। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন (আনারস),উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল (ঘোড়া),আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিয়াজী (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আরিফুজ্জামান (চশমা),ইসলামী আন্দোলন ফয়সাল হোসোইন (হাতপাখা)।

৮নং কাদলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লালু।

এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই (মোটরসাইকেল),উপজেলা যুবলীগ সদস্য নূরে-ই আলম রিহাত (আনারস),আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান (ঘোড়া) ও ইসলামী আন্দোলন সোহেল আহমেদ (হাতপাখা)।

১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক কবির হোসেন। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিন উদ্দিন (আনারস), আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিক এম. মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া জনি (ঘোড়া),স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রদীপ চন্দ্র দাস (চশমা), আব্দুল মমিন (অটোরিক্সা) ও ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ মুন্সী (মোটরসাইকেল) এবং ইসলামী আন্দোলন কবির হোসেন (হাতপাখা)।

১১নং গোহট দক্ষিন ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন (মোটরসাইকেল),স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম (চশমা), ইউনুছ মিয়া (আনারস), ইসলামী আন্দোলন মাহবুব আলম কুদ্দুস (হাতপাখা) এবং ১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ওমর ফারুক শামীম ।

এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রেজাউল মাওলা হেলাল মুন্সী (ঘোড়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম (আনারস),আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী পাটওয়ারী (টেলিফোন),স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ আহমেদ (চশমা),মারফ আহমেদ (মোটরসাইকেল), ইসলামী আন্দোলন মুফতি মোজাম্মেল হক (হাতপাখা)। যদিও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রার্থীরা দলীয় ব্যানার পরিচয় না দিয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী বলে দাবি করছেন।

অন্যদিকে দলের নীতি নির্ধারনীরা বলছেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন শীঘ্রই তাদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে। এব্যাপারে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. আইয়ুব আলী পাটওয়ারী ও সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ বিভিন্ন সভায় দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারনা কালে বলেন, দলের বিরুদ্ধে যারা প্রার্থী হয়েছে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক অচিরেই তাদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *