করোনা নিয়ে আলমগীর হাসপাতালে, রুনা লায়লা সুস্থ আছেন তো?

করোনা নিয়ে আলমগীর হাসপাতালে, রুনা লায়লা সুস্থ আছেন তো?
করোনা নিয়ে আলমগীর হাসপাতালে, রুনা লায়লা সুস্থ আছেন তো?

চাঁদপুর সময় রিপোট-দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিগত আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আলমগীর। এখন তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তার স্ত্রী উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা কেমন আছেন? রুনা নিজেই জানালেন, তিনি ভালো আছেন। আলমগীর ও তিনি একসঙ্গে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছেন। তার নিজের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। তিনি বাসাতেই আছেন।

এই তারকা দম্পতির কুশলাদি জানতে শুক্রবার রাতে ঢাকা টাইমস যোগাযোগ করে শিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার করোনা নেগেটিভ। শরীরে কোনো ধরনের উপসর্গ নেই। করোনা টেস্ট করানোর আগে গলার ভেতরে একটু খুসখুসে ভাব ছিল, সেটাও এখন নেই। আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি। আলহামদুলিল্লাহ। আপাতত বাসাতেই থাকছি।’

নায়ক আলমগীরের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রুনা লায়লা বলেন, ‘ওনার শরীরেও কোনো ধরনের উপসর্গ নেই। শুরুতে খুসখুসে কাশি আর মাথা ধরা থাকলেও এখন কোনো সমস্যা নেই। হাসপাতালে ভর্তির পর ওনার ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। তার রিপোর্ট ভালো। অক্সিজেন স্যাচুরেশনও ঠিকঠাক।’

হাসপাতালে আলমগীরের খুব ভালো চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানান রুনা লায়লা। বলেন, ‘ওখানে ১০ দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি (আলমগীর)। ওনার জন্য বাসা থেকে খাবার দিয়ে আসা হচ্ছে। স্বাভাবিক সব খাবারই খেতে পারছেন। আবার হাসপাতাল থেকে যে খাবার দিচ্ছে তাও খাচ্ছেন। মানসিকভাবে তিনি খুবই শক্ত আছেন। সবাই ওনার জন্য দোয়া করবেন।’

গত ১৭ এপ্রিল সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে গিয়ে আলমগীর, রুনা লায়লা, আলমগীর-কন্যা কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরসহ ১২ জন একসঙ্গে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন। রুনা লায়লা বলেন, টিকা নেওয়ার আগে থেকেই আলমগীর খুসখুসে কাশির কথা বলছিলেন।

এরপর টিকা গ্রহণের দিনেই মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দেন এই তারকা দম্পতি। পরের দিনই আসে রিপোর্ট। তাতে দেখা যায়, আলমগীরের রিপোর্ট পজিটিভ এবং রুনা লায়লার নেগেটিভ। ওইদিন বিকালেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আলমগীরকে।

হাসপাতালে ভর্তি প্রসঙ্গে সে সময় রুনা লায়লা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আলমগীর সাহেবের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ভাবলাম, বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার চেয়ে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে রাখা গেলে ভালো হবে। এরপর কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করে একটি হাসপাতালে কেবিন পাওয়া যায়। সেখানেই আলমগীর সাহেবকে ভর্তির ব্যবস্থা করোনা হয়।’
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে গিয়ে করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেন আলমগীর-রুনা লায়লাসহ তাঁদের গোটা পরিবার। সে সময় সবাইকে টিকা নেয়ারও আহ্বান জানান এই সুপারস্টার দম্পতি। পাশাপাশি টিকা দেয়ার পদ্ধতিরও প্রশংসা করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *