স্টাফ রিপোর্টার চাঁদপুরের সর্বত্র আবহাওয়া সকাল থেকেই ছিল তপ্ত। তবে দুপুরের পর হঠাৎই আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে; এরপর সোয়া ৩টা নাগাদ শুরু হয় ঝোড়ো বাতাস। বাতাসের গতি বাড়ার সঙ্গে নামে মুষলধারে বৃষ্টি। আজ শুক্রবার বছরের দ্বিতীয় কালবৈশাখী দেখলেন রাজধানীর বাসিন্দারা। তীব্র গরমের পর বৃষ্টিতে খানিকটা স্বস্তি নেমে এলেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে পড়া মানুষকে।
এর আগে আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপকুলের দিকে একটি বড় মেঘমালা এগিয়ে আসছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে, অর্থাৎ বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওই মেঘ দেশের বিভিন্ন বেশির ভাগ এলাকার আকাশ ঢেকে দিতে পারে। শুরু হতে পারে বৃষ্টি। থেমে থেমে সেই বৃষ্টি সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চল ছাড়া ঢাকাসহ প্রায় সব এলাকায় এখন কালবৈশাখীর তাণ্ডব চলছে। দক্ষিণাঞ্চলেও ঝড় শুরু হতে পারে আরও একটু পরে।
তিনি বলেন, একেক এলাকায় একেক রকম গতিবেগে ঝড় হচ্ছে। কোথাও বাতাসের গতি বেশি আবার কোথাও বৃষ্টির ধারা বেশি। এই বৃষ্টি থেমে থেমে রাতেও কোথাও কোথাও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, চাঁদপুরসহ চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে গতকাল বিকালে হঠাৎ আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। এতে বাড়ী ফেরা মানুষের মধ্যে দেখা দেয় চরম ভোগান্তি। রাত পর্যন্ত বৃষ্টির স্থায়িত্ব দেখা যা।