কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল বাংলাদেশকে বলা হয় কৃষি নির্ভর দেশ। ‘কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে’। বর্তমানে এই নীতি বাক্য শুধু প্রবাদেই টিকে আছে। বাস্তবতা হলো দিন দিন কৃষি জমি কমে আসছে। বলতে গেলে দেশে বর্তমানে কৃষকদের দুঃসময় যাচ্ছে। কৃষকদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের উদ্যোগের কমতি নেই। কিন্তু কৃষি মাঠ দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বিদেশ নির্ভরতা বাড়ছে। ফলে সঙ্কট দেখা দিয়েছে খাদ্য উৎপাদনে। এর মধ্যে যে পরিমনা কৃষি উৎদন চালু রয়েছে সেই সব এলাকায়ও ভোগান্তির শেষ নেই কৃষকদের।
চাঁদপুরের কচুয়ায় সাচার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জোয়ারীখোলা-উদখোলা খালের উপর ব্রীজ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার কৃষক ও সাধারন মানুষ। ব্রীজ নির্মাণ হলে প্রায় ১৫টি এলাকার সাধারন মানুষ কৃষি জমিতে আবাদ করতে সুবিধা পাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারীখোলা থেকে উদখোলা খাল পর্যন্ত প্রায় ২কি.মি. ফসলি জমির মাঝামাঝি একটি খাল অবস্থিত রয়েছে। ফলে খালটি জোয়ারীখোলা থেকে ৩০০ ফুট পূর্বে জমির মালিকগন খালটির উপর দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এই বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে প্রতিনিয়ত কৃষক ও এলাকাবাসী যাতায়াত করে থাকে। তাছাড়া প্রায় ১০ হাজার একর ফসলি জমি রয়েছে কৃষকদের। বর্ষা মৌসুম কিংবা রবি মৌসুমে ফসল আনার জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।
জোয়ারীখোলা-উদখোলা খালটি পাশ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজারের সাথে মিলিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ খালের উপর দিয়ে সাচার বাজারে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতারা আসেন নৌকা দিয়ে। বর্তমানে এ খালের উপর একটি ব্রীজ না থাকা কারনে কৃষক ও ঐসব এলাকার বিরাট সংখ্যক মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত খালটির উপর দিয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানান তারা। আমরা তাদের এই ন্যায্য দাবির সাথে সহমত পোষণ করছি। আমরা মনেকরি কৃষকদের সমস্যা সমাধানে সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।