কেকেকে নিয়ে এই তথ্যগুলো জানতেন কি

প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। তাঁর অনেক গান মানুষের মুখে মুখে ফিরলেও ব্যক্তি কেকে বেশির ভাগ সময়ই থেকেছেন প্রচারের আড়ালে। চলুন জেনে নিই প্রয়াত এই গায়ক সম্পর্কে সাতটি অজানা তথ্য।

গানের স্বপ্নে মুম্বাই
মনে মনে গায়ক হওয়ার স্বপ্ন থাকলে ক্যারিয়ারের শুরুতে হোটেলের কাজে যুক্ত ছিলেন কেকে। গানের স্বপ্ন সত্যি করতেই ১৯৯৪ সালে মুম্বাইতে যান।

বিয়ের জন্য চাকরি
একটা সময় বিক্রয়কর্মীর কাজ করতেন। কাজটা যে পছন্দ করতেন তা না। চাকরিটা নিয়েছেন স্রেফ বিয়ে করবেন বলেই। তবে বিয়ের কয়েক মাস পরই বুঝতে পারেন এ কাজ তাঁর জন্য নয়। তবে চাকরি ছাড়বেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন, ভুগছিলেন হতাশায়। পরে বাবার পরামর্শে ইস্তফা দেন।

হরিহরণ যোগ
পেশাদার গায়ক হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টুকটাক গাইতেন কেকে। নয়াদিল্লির এমনই এক অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন প্রখ্যাত গায়ক হরিহরণ। কেকে উৎসাহ দেন, বলেন গানের ক্যারিয়ার গড়তে মুম্বাইতে আসতে।

 কেকেকে-নিয়ে-এই-তথ্যগুলো-জানতেন-কি

কিশোর কুমার প্রেরণা
একেবারে ছোটবেলায় কিশোর কুমার বলতে পাগল ছিলেন কেকে। কিশোর ছিলেন তাঁর প্রথম প্রেরণা। এমনই নিয়তি কেকের মৃত্যু হলো কিশোরের প্রিয় শহর কলকাতাতেই।

রিয়েলিটি শো নয়
গায়ক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও রিয়েলিটি অনুষ্ঠানটিতে বিচারক হিসেবে কখনো দেখা যায়নি কেকেকে। ব্যতিক্রম ছিল একবার। সেবার ছোট পর্দার শো ফ্রেম গুরুকুল-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অনুষ্ঠানে ছিলেন অরিজিৎ সিংও।

প্রথাগত শিক্ষা নেই
সংগীতশিল্পী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও গানে প্রথাগত কোনো শিক্ষা ছিল না তাঁর। কয়েকবার গানের স্কুলে ভর্তি হলেও পরে যাওয়া বন্ধ করে দেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকে বলেছিলেন, তিনি শিখেছেন মূলত গান শুনে শুনে। পরে যখন জানতে পারেন তাঁর আদর্শ কিশোর কুমারেরও গানে প্রথাগত শিক্ষা নেই, তখন তাঁকে আর পায় কে!

জিঙ্গেলের রাজা
‘পাল’ অ্যালবাম দিয়ে নজর কাড়েন কেকে। তবে তত দিনে জিঙ্গেল শিল্পী হিসেবেই যথেষ্ট নাম করেছেন গায়ক। প্রথম অ্যালবাম মুক্তির আগেই তাঁর সাড়ে তিন হাজার গানে কণ্ঠ দেওয়া হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *