ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিন

অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে মধ্য ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লড়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারিতে এই ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকে আর্থিক সংকটে রয়েছে। মহামারির প্রথম লকডাউন কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার তৃতীয় ধাপের লকডাউন চলছে। এমন অবস্থায় বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং মধ্য আয়ের ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছে। তাদের দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, অনেকের ব্যাংকের ঋণসহ নানামুখী সংকটে পড়েছেন। সুতরাং এমন অবস্থায় সরকারের উচিত, এই খাতের উপর নজর প্রদান এবং প্রণোদনা ঘোষণা করা।

পুঁজি ছাড়া ব্যবসা চিন্তাও করা যায় না । আর এই পুঁজির যোগান বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। নিজের পকেটের অর্থ, ব্যাংক ঋণ এবং শেয়ার বিক্রি ও বন্ড বিক্রি তার মধ্যে অন্যতম । কিন্তু বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য নিজের পকেট থেকে দেয়া পুঁজিই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসা পরিচালনার মূল অবলম্বন। আর ব্যাংক ঋণ হলো বাংলাদেশের এখনো পর্যন্ত একমাত্র পারিবারিক পুঁজির বাইরের উৎস। বাংলাদেশের পুঁজি বাজারে এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ একেবারেই সীমিত, এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাই বললেই চলে।

অতএব পর্যাপ্ত পুঁজির অভাবে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে না, অপরদিকে ব্যাংক তার বিশাল বিনিয়োগকে কর্পোরেট নামক গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানে এককেন্দ্রিক পুঞ্জীভূতকরণের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছে। আজকের যে বিশাল অংকের অলস ঋণ ব্যাংক লালন পালন করছে তার সিংহভাগই এই কর্পোরেট সেক্টরের। কিন্তু অপরদিকে নব্বই শতাংশ অর্থনীতির ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা পুঁজির অভাবে না পারছে টিকে থাকতে না পারছে ব্যবসা করতে। অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মূল পুঁজি প্রবাহ তথ্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে সংযোগ করা আজ সময়ের দাবি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *