কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহমী জুয়েল যে কোনো উন্নয়নকাজ কিংবা স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কিন্তু রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত মফস্বল শহর পর্যন্ত খেলার মাঠগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে মাঠগুলোকে জড়িয়ে থাকা উচ্ছল শৈশব ও তারুণ্যের উদ্যম।
দুঃখজনক বিষয় হলো গত রবিবার খেলার মাঠে থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করায় এক মা ও তার কিশোর ছেলেকে ধরে নিয়ে ১৩ ঘণ্টা থানা হাজতে আটকে রাখে পুলিশ। তবে মানুষের প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের মুখে মুচলেকা নিয়ে রাত ১২টার দিকে প্রতিবাদী মা সৈয়দা রত্না ও তার ছেলেকে কলাবাগান থানা-পুলিশ ছেড়ে দেয়।
কলাবাগান এলাকার একটি মাঠে থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন এলাকার বাসিন্দা সৈয়দা রত্না। রবিবার সকালে ওই মাঠে ইট-সুরকি ফেলা হলে সেখানে গিয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন সৈয়দা রত্না। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকেও ধরে নিয়ে মা-ছেলেকে থানায় আটকে রাখা হয়। সৈয়দা রত্নার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। মাঠ রক্ষার আন্দোলন করবেন না এবং ডাকলে যে কোনো সময় থানায় হাজির হবেনÑ এই শর্ত দিয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ তার স্বাধীন মতামত প্রকাশ ও প্রতিবাদ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পুলিশ যে ক্ষমতার অপব্যবহার দেখাল তা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর বিচার চাই। একদিকে সরকার শিশু-কিশোরদের খেলাধুলাচর্চাকে উৎসাহিত করার কথা বলছে, অন্যদিকে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল বা হত্যা করে ভবন তৈরি করছে, এই স্ববিরোধিতা চলতে পারে না। আমরা চাই দেশের সব খেলার মাঠ রক্ষা করায় সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক।