কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল লাইসেন্সবিহীন অথবা ভুয়া লাইসেন্সধারী চালকেরও অভাব নেই দেশে। ট্রাফিক আইন ও সিগন্যাল না জেনেই চালকের আসনে বসে গেছে অনেকে। তাদের কাছে মানুষের জীবন একেবারেই নিরাপদ নয়। স্বাভাবিকভাবেই এ অবৈধ লাইসেন্সধারী গাড়িচালকরা গাড়ি চালাতে গিয়ে আইনের ধার ধারেন না। সঠিকভাবে এরা প্রশিক্ষিত নন, এমন চালকের সংখ্যা কম নয়। এই চালকদের পেছনে আছে শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকতা, যে কারণে এদের শনাক্ত করাও হয়ে পড়েছে দুষ্কর। প্রতিবার দুর্ঘটনার পর পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত প্রতিবেদন কোনোদিন আলোর মুখ দেখে না।
সঙ্গত কারণেই দোষীদের শাস্তিও হয় না। বিচারহীন, প্রতিকারহীন অবস্থায় কোনো কিছু চলতে থাকলে তার পুনরাবৃত্তি তো ঘটবেই। প্রশ্ন হচ্ছে- আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় যে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারান তার সবই কি দুর্ঘটনা? আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত- সতর্কতা অবলম্বন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা। বিশেষ করে এখন কুয়াশার কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হবে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব সচেতনতায়। আইন কার্যকরের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন করতে হবে। তবে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।