চাঁদপুরের বিভিন্ন ঘাটের হোটেলে বিক্রি হচ্ছে রান্না করা ইলিশ

 

স্টাফ রিপোর্টার

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে চাঁদপুরের বিভিন্ন ঘাটে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সম্মুখ্য স্থানেই প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে রান্না করা ইলিশ মাছ। যেখানে এই অভিযান

চলকালীন সময়ে নদীতে কোন প্রকার জাল ফেলাও নিষিদ্ধ, সেখানে প্রতিনিয়তই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মা ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। আর

সেইসব ইলিশ কম দামে ক্রয় করছেন অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা।

অভিযান চলাকালীন এই সময়ে প্রকাশ্যেই বিভিন্ন গুদারাঘাট, লঞ্চঘাটের হোটেল, রেস্তোরায় বিক্রি করা হচ্ছে রান্না করা ইলিশ। যেখানে মা ইলিশ

সংরক্ষন অভিযান সফল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে, সেখানে কিভাবে অভিযানের সময় নৌ-থানা এবং ফাঁড়ির সামনে থাকা

 

বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরায় প্রকাশ্যেই বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ..? এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের।

এছাড়াও চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসাধু জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মা ইলিশ নিধন করতে দেখা গেছে।

১৮ অক্টোবর রোববার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনার ফেরিঘাটে সরজমিনে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। হরিণা ফেরিঘাট অবস্থিত হানিফ

ছৈয়ালের, জাহিদ হোটেলে প্রকাশ্যে রান্না করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। দেখা যায়, তিনি হোটেলে দাঁড়িয়ে মেঘনার টাটকা তাজা ইলিশ বলেই রান্না করা ইশিশ তার হোটেলে বিক্রি করছেন। অথচ তার কয়েক গজ দুরেই হরিণা নৌ- পুলিশ ফাঁড়ি। অভিযান চলাকালীন সময়ে এভাবে প্রকাশ্যে হোটেল

গুলোতে ইলিশ বিক্রি করা হলেও এ বিষয়ে নেই কোন তেমন পদক্ষেপ।

এদিকে মা ইলিশ রক্ষা করি, ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি করি। এ স্লোগান কে ধারন করে গত ৭ অক্টোবর থেকে চাঁদপুরে শুরু হয়েছে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান।

 

এ উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত

হয়েছে।
এছাড়া শহরের বড়ষ্টেশন মোলহেডে নৌ র‌্যালী উপলক্ষে আলোচনা সভা, র‌্যালী ও সচেতনতামূলল লিফলেট বিতরণ করা হয়।

তাতে অংশ নেয় জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও জেলে প্রতিনিধিবৃন্দ ও

 

 

সাংবাদিকসহ সুধীমহলের অংশগ্রহণে পদ্মা-মেঘনা নদীতে স্পীডবোট ও ট্রলার নিয়ে নৌ র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

সচেতন মহলের প্রশ্ন হচ্ছে মাইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এত পদক্ষেপ গ্রহন করে কতটুকুই তা সফল হবে…?

 

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে চাঁদপুরের নৌ- পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে চাঁদপুর লঞ্চঘাট নৌ- থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের ঘাটে যদি কোন হোটেলে

এভাবে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি করে থাকে। তাহলে আমরা অবশ্যই ওই হোটেলে তল্লাশী চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *