আকিজ গ্রুপের ৪ কোটি টাকার চিনি পাচারকারী ও চাঁদপুরের শীর্ষ ২ চোরা কারবারি আটক

 

স্টাফ রিপোর্টার

চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকায় ১০ ব্যারেল অকটেন চুরির মামলায় ফজল প্রধানিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম গাজী (মরু হাজী) নামে দুই চিহ্নিত চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন নৌ থানা পুলিশ।
চোরকারবারি ফজল প্রধানিয়া পুরাণ বাজার মোম ফ্যাক্টরি এলাকার মিনহাজ উদ্দিন প্রধানিয়ার ছেলে এবং জাহাঙ্গীর আলম শহরের স্ট্যান্ড রোড এলাকার কেরামত আলী গাজীর ছেলে।

চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল পুরান বাজার পূর্ব শ্রীরামীদ ব্যবসায়ী আলী খাঁর গোডাউন থেকে ১০ ব্যারেল চোরাই অকটেন জব্দ করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। সে মামলায় আসামী হলেন ফজল ও জাহাঙ্গীর।

 

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত দুইজন মতলব উত্তর থানার মেঘনা নদীতে জাহাজ থেকে আনুমানিক চার কোটি টাকা মূল্য মানের ৪ হাজার ৩শ’ ৮৫ বস্তা চিনি চুরির ঘটনার মামলায় আসামী। ওই মামলার আসামী হিসেবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আসামিরা জানায় তারা উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের জামিনে আছেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অকেটন চুরির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

 

 

মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃতরা দেওয়ান মেহেদী টু লাইটারেজ জাহাজের চিনি চুরির ঘটনায় এজহারভুক্ত আসামী। কিন্তু তারা জামিনে আছেন। ওই চুরির ঘটনায় এই পর্যন্ত মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত চিনির মধ্যে ২৬ বস্তা চিনি উদ্ধার ও নগদ দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম থেকে চিনি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে দেওয়ান মেহেদী টু লাইটারেজ জাহাজ থেকে ৮ হাজার বস্তা চিনি পাচার হয়ে যায়। সেই ঘটনায় জাহাজের মাস্টার সহ ১১ জন আটক করার পর চাঁদপুরের চিহ্নিত চোরাকারবারীদের নাম বেরিয়ে আসে। এই ঘটনায় সেই চোরাকারবারীদের ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে অভিযুক্ত চোরাকারবারীরা গা ঢাকা দিয়েছে।

অবশেষে দীর্ঘ বছর নদীর চোরা চালানের সঙ্গে জড়িত চোরাকারবারি মরু হাজীকে পুলিশ আটক করায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে।

 

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চাঁদপুরের চিহ্নিত গডফাদার চোরাকারবারী জাহাঙ্গীর আলম গাজী ওরফে মরু হাজী দীর্ঘ বছর যাবত নদীতে লাইটারেজ জাহাজ থেকে বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানির মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। সে এই কাজ করে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বণে গেছে। নামে বেনামে শহরে তার বাড়ি ও জায়গা জমি রয়েছে।সে চাঁদপুর স্ট্যান্ড রোডে তার নিজস্ব পাঁচতলা ভবন আলিশান বাড়িতে বসবাস করে।তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে চাঁদপুরে চোরাকারবারি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *