চাঁদপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজন হয়েছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজান গাজী (৫৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ জানুয়ারি (বুধবার) বিকেলে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নে জামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী মিন্টু কবিরাজের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অপরপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মিজান গাজী গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, নির্বাচনের দিন তিনি আহত হন বলে খবর পেয়েছি। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কচুয়া উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত শরীফ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের লোকজন মরদেহ ঢামেক থেকে নিয়ে আসলে তার মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

৫ জানুয়ারি উপজেলার সাচার ইউনিয়নের নয়াকান্দি ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি।

কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত শরীফ হোসেনের মরদেহ ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি বিকেলে ভোট চলাকালে হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মীর হোসেন ব্যাপারী (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি শরীয়তপুরের পালং থানার পূর্ব সোনামুখী গ্রামের এরফান ব্যাপারীর ছেলে।

স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *