ধারাবাহিক লকডাউনে মানুষের জীবন যাত্রা যখন স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন সর্বত্রই হাহাকার দেখা দেয়। দেশের নিন্ম আয়ের মানুষেরা পড়েন ভীষণ বিপাকে। পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা আহার জোটাতে মানুষ জীবন বাজী রাখতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
এমনই পরিস্থিতিতে সরকার উপলব্ধি করেই মানুষের জীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। তবে মানুষ বেমালুম ভুলে গেছে করোনার কথা। যে যার মতো করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
চাঁদপুরের পর্যটন স্পটখ্যাত বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় মানুষের প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভীড় করছে এলাকাটিতে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। এব্যাপারে চাঁদপুরের স্থানীয় পত্রিকাগুলো সংবাদ পরিবেশন করে আসলেও কারোই যেন কোন চৈতন্য নেই।
পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার কারণে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই উপেক্ষিত। শাটডাউন আর লকডাউনের সময় আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী মানুষকে কর্মহীন করে রাখার জন্য যেমন তৎপর দেখেছি, কিন্তু মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সেরকম দেখছি না। সরকার লকডাউন প্রত্যাহার করেছে, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতো আর প্রত্যাহার করেনি? বরং সরকার বলেছে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং মাস্ক পরিধান করতে। এসব বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা নেই ।
পুলিশ সদস্যরা যদি লকডাউনের মতো মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে তৎপর হন তাহলে অবশ্যই তা সম্ভব। যেমনটা দেখেছি লকডাউনের সময়। হাট-বাজার আর অফিস আদালত নয় সবখানে যাতে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকে সে জন্য পুলিশি তৎপরতার কোন বিকল্প নেই।
কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল, ২৭ আগস্ট ২০২১;