চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ পুরাণবাজার এলাকা পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার

চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজার দোল মন্দির এলাকা পরিদর্শন করছেন ঢাকা থেকে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ অন্যরা।
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের একটি টীম। গতকাল ১৫ জানুয়ারি রোববার বেলা সাড়ে বারোটার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শফিউল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহতাব উদ্দিন শহর রক্ষাবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন এবং ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে করা কাজের স্থানও পর্যবেক্ষণ করেন। কর্মকর্তাগণ প্রথমে পরিদর্শন করেন বাজার এলাকায় অবস্থিত চাঁদপুর দোল মন্দির প্রাঙ্গণ শহর রক্ষাবাঁধের অংশ। এরপর যান হরিসভা এলাকায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল, দোল মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বারের পরিচালক গোপাল সাহা, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল জানান, গেল বর্ষার সময় শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজার দোল মন্দির ও হরিসভা এলাকায় মেঘনার ভাঙ্গন হলে জরুরি ভিত্তিতে এ দুটি পয়েন্টে বালুভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছিল। সেই কাজের অগ্রগতি ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে দেখে গেছেন।

তিনি বলেন, গতবছরের নভেম্বর মাসে আমরা শহররক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিতকরণের উপন সার্ভে করেছি। সেই সার্ভে রিপোর্ট হেডঅফিসে পাঠিয়েছি। সেই অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ অংশ চিহ্নিত হলে অস্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামত কাজের জন্য পরবর্তী প্রস্তাবনা পেশ করা হবে। চাঁদপুর শহরকে স্থায়ীভাবে রক্ষার প্রকল্পটি কোন পর্যায় রয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বলেন, চাঁদপুর শহর রক্ষা পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্যে আমরা ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় ডিপিপি পাঠিয়েছি। বর্তমানে সেটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় রয়েছে। ৩ হাজার ৫০০ কোটির এ প্রজেক্ট দেয়া হয়। তাতে শহর রক্ষাবাঁধের ৩৩৬০ মিটার প্রতিরক্ষামূলক কাজসহ প্রায় ১৩ কিলোমিটার ড্রেজিং রয়েছে।

এদিকে, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এবং দোল মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা বলেন, বর্ষার সময় আমাদের এই এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিলে আমরা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়। তারা সেই সময় জরুরি ভিত্তিতে কিছু বালুভর্তি বস্তা ফেলেছে। কিন্তু ব্লকবাঁধের মেরামত কাজ করা হয়নি।

এখন শুষ্ক মৌসুম অনেক জায়গা থেকে ব্লক ঢেবে, এলোমেলো হয়ে আছে। হরিসভা এলাকায়ও ব্লকবাঁধের কাজ হয়নি। জায়গা ভাঙ্গণ ঝুঁকিতে রয়েছে পুরাণবাজার। এ পরিস্থিতিতে ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থার দাবি জানাই। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এবং আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির সুদৃষ্টি কামনা করেন।

অপরদিকে, সচেতন মহলের মতে শুস্ক মওসুমে কাজ না হওয়াতে আবারো ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকবে চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ। তাই মেঘনার ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর শহরকে স্থায়ীভাবে রক্ষায় যে প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সেটি যেনো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের আশা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *