চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ৪ আইসিইউ বেড চালু হতে যাচ্ছে। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মানবিক এ উদারতার কারণে মাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই ৪ আইসিইউ বেড চালু করার এ মালামাল আসে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে,যার কারনে বর্তমানে ৪টি আইসিইউ বেড চালু করা সম্ভব হচ্ছে।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের সেবা প্রদানের মাধ্যমে চালু হতে যাচ্ছে ৪টি আইসিইউ সেবা বেড। এই হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের দাবি জেলা বাসীর দীর্ঘ দিনেরই। জেলাবাসীর জায়গা সংকট এবং প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাবের কারণে তা এতদিন স্থাপন হয়নি। কিন্তু এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব হতে থাকে অনেক বেশি। শেষ পর্যন্ত চাঁদপুরে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে গত বছর আনা হয় কয়েকটি আইসিইউ বেড।
তা’এতদিন প্রয়োজনীয় মালামাল, দক্ষ জনবল অভাবে সে সময়ে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালের তৎকালিন হাসপাতালের তত্ত্বাবধাওকের অনইচ্ছারসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় এক বছরেও তা চালু করা সম্বব হয়নি।
এদিকে জানা গেছে, আইসিইউ বেড বরাদ্দ পাওয়ার পর চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জন্য একটি রুম প্রস্তুত করা হয়েছে। অবশেষে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ গত ১৪ ডিসেম্বর আবারও চিঠি প্রেরণ করেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছে।
এ চিঠির পেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের মানবিক এ উদারতার কারনে মাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই এ মালামাল আসে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে,যার কারনে বর্তমানে ৪টি আইসিইউ বেড চালু করা সম্বব হচ্ছে। চাহিদানুজায়ি প্রয়োজনীয় মালামাল বরাদ্দ পাওয়ায় আগামী সপ্তাহের যে কোনদিন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির সাথে যোগাযোগ করে সময় নির্ধারন করে ৪টি আইসিইউ বেড চালু করার সম্ভব রয়েছে বলে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আইসিইউ বেডের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বরাদ্দ হয়েছে। আগামী রোববার সেগুলো আনা হলে আইসিইউ চালু করা সম্বব হবে। কারণ, এখন আইসিইউর জন্য রুম, অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। আমি চেষ্টা করে যন্ত্রপাতিগুলো এনে দিয়েছি বাকীটুকু দেখবেন হাসপাতাল দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, আইসিইউ বেডের জন্য কিছু যন্ত্রপাতি বাকি ছিল,৪টি বেড চালাতে যত যন্ত্রপাতি লাগে তার সবকিছুই বরাদ্দ পেয়েছি। আগামী রোববার সেগুলো সংগ্রহ করতে হাসপাতাল থেকে ঢাকায় লোক পাঠানো হবে।। এরপর ঢাকা থেকে মেকানিকরা এসে সবকিছু ফিটিং করে দিবে। আশা করি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আইসিইউ সেবা পাবে জেলাবাসী।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই আইসিইউ বেড পরিচালনার জন্য আমরা ২ জন ডাক্তার এবং ১২ জন সিস্টারকে ট্রেনিং দিয়ে রেখেছি। তারা আইসিইউ বেড পরিচালনা করতে পারবে। ট্রেনিং প্রাাপ্ত জনবল দিয়েই আমরা আইসিইউ বেড চালু রাখবো বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে। পাশপাশি আরও দক্ষ জনবল চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার