কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল চালের দামে মুক্তি নেই সাধারণ মানুষের। সিন্ডিকেটদের কাছেই জিম্মি সবাই। শুরু থেকেই চালের বাজারের অস্থিরতার নেপথ্যে মিলার ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কলকাঠি নাড়ার বিষয়টি বহুল আলোচিত। চালের বাজারের অস্থিরতার পেছনে এবারও মিলারদের কারসাজি থাকতে পারে; তাদের কারসাজির প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
অব্যাহতভাবে বাজার তদারকি করা হলেও ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছে না কেন? এই বাজারে এতদিন ধরে চালের দাম বাড়ছে কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ সময়মতো যথাযথ পদক্ষেপ নিলেও প্রভাব পড়ছে না। খাদ্য মন্ত্রণালয় চালের দাম বাড়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে এই হুশিয়ারি ও সতর্কবার্তার কোনো প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে না। স্থানীয় পর্যায়ে যেটুকু হয়, ভোক্তারা কিছুটা সুফল পেলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বাজারের অস্থিরতা দূর করতে তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতার পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো দরকার। এ প্রক্রিয়ায় অসাধুদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু অভিযান নয়, মজুদবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। চাল নিয়ে সব ধরনের চালবাজি রুখতে হবে। এবং ভালো ফসল উৎপাদন হলেও কৃষক যেন তার ধানের ন্যায্যমূল্য পান সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারকেই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছি।