কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল ॥
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে জাতীয় মূল্যস্ফীতির চেয়ে চালের মূল্যস্ফীতি ছিল দ্বিগুণেরও বেশি। কখনো কখনো তা তিন গুণের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই হিসাবই বলে দিচ্ছে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল নয়। ভরা মৌসুমে এসেও বাজারে চালের দাম বাড়ছে। এক থেকে দেড় সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ছয় টাকা পর্যন্ত।
প্রকাশিত খবর অুনযায়ী চালের সরবরাহে মিলার ও বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ আরো বেড়েছে। বাজাওে চালের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে বেশিদিন হয়নি। আমন মৌসুমেও ধান উৎপাদন কম হয়নি। তার পরও বাজারে চালের দাম বাড়ছে কেন?
চালের ব্যবসায়ী এখন আর শুধু ছোট মিলগুলো নেই। বড় ব্র্যান্ড ক¤পানিও চালের ব্যবসায় নেমেছে। ফলে ধান মজুদের পরিমাণ বেড়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও এখন সরু চালের চাহিদা বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের ঠুনকো দাবি কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণেই হঠাৎ চালের দাম বেড়েছে। সরবরাহকারীরা বলছেন, পরিবহন ব্যয় বাড়ায় প্রতি কেজিতে সরবরাহ খরচ বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ পয়সা। এ ছাড়া সরকারের ধান ক্রয়ের কারণে বাজারে ধানের দাম বেড়েছে।
ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন মিলাররা। চিকন চালের দাম করপোরেট ব্যবসায়ী ও অটো রাইস মিলাররা নিয়ন্ত্রণ করছেন। মিল মালিক ও আড়তদাররা চাল মজুদ করে মৌসুমের শেষ সময়ে দাম বাড়িয়ে তা বাজারে ছাড়েন। বাজারে চালের অভাব নেই। মিল মালিকরা চাল ধীরে ধীরে ছাড়ছেন বলে দাম বাড়ছে। এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় এমন সন্দেহ একেবারেই অমূলক নয়।
তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নচেৎ নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।