কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
চিকিৎসা ব্যয় কমানো এখন বড়ো চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মূল ভুক্তভোগী হলেন দেশের নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ জন। আমরা দেখেছি চাঁদপুরের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা ব্যয় মিটাতে না পেরে সরকারি দপ্তরের
অনুদান নির্ভরতা বাড়ছে। এভাবে সরকার দরিদ্র মানুষদের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরী। কারণ অনুদানে সাময়িক স্বস্তি পেলেও দীর্ঘ চিকিৎসা ব্যয়ের যাঁতাকলে পড়ে মানুষ
এখন দিশেহারা। তাই এ ব্যাপারে সরকারের সচেতনতা জরুরী। ঔষধপত্রের দামের পাশাপাশি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যয় নির্ধারণ না হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে না।
সম্প্রতি সমাজসেবা অধিদফতর একটি প্রকল্পের আওতায় ৩৭টি হাসপাতাল/সংস্থা থেকে ৩০% গরিব রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি হিসাব মতে, এ সব হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানে
২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৮ জন দুস্থ রোগীর চিকিৎসা বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে হয়েছে। এটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য হলেও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
অতি সম্প্রতি দেশের একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট’ দেশের লাখ লাখ ডায়ালাইসিস এবং কিডনি ট্রান্সপ্লান্টযোগ্য রোগী যারা গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য
ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে একটি বিশ্বমানের সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মনেকরি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।