চৈত্রের দাবদাহে শঙ্কিত কৃষকরা

মতলব উত্তর প্রতিনিধি চৈত্রের তাপদাহে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মানুষসহ প্রাণীকূল অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। দীর্ঘদিন ধরে গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এ তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন প্রাণী পানিতে নেমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করছে একটু স্বস্তির আশায়।গরমে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষর্থীরাও পড়েছে বিপাকে। অভিভাবকদের অভিযোগ এই গরমে দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে ক্লাশে গিয়ে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পরছে ।কৃষকের ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসলের চাষের বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়েছে, মাটির আদ্রতা না থাকায়। খেটে খাওয়া দিনমজুরা বেশী বিপাকে পরেছে । চৈত্রের রোদে কিছুক্ষন কাজ করলেই হাঁপিয়ে যাচ্ছে। এঅবস্থায় বিপাকে পরেছে তারা ।
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার জোড়খালী গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা জানান প্রচন্ড গরমে জীবন অতিষ্ট হয়ে পরেছে।জমির আদ্রতা নাই যে জায়গায় গভীর নলকুপ আছে সেখানে আবাদ করা গেলেও চর এলাকার অনেক এলাকাতে আবাদ করা যাচ্ছেনা ।
রিক্সা চালক বিল্লাল জানান গরমের কারনে রিক্সা চালালে অস্থির হয়ে যাই আবার কিছুক্ষন ছায়ায় বসে আরাম করে আবার গাড়ি চালাতে হয়।এ কারণে আয় ও অনেক কমে গেছে।
তাছাড়া বিভিন্ন পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। শ্রমজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ক্লান্তি দূর করতে কেউ পান করছেন ডাবের পানি, কেউবা খাচ্ছেন শসা, লেবুর শরবত। তাই প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা পানি আর ডাবের পানি বিক্রি বেড়ে গেছে।
বাজারের ফুটপাতে খোলা জায়গায় লেবুর শরবাত, ঠান্ডা পানি, ডাব বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রচন্ড গরমের ফলে দিনমজুর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
এদিকে প্রচন্ড গরমের ফলে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। উপজেলা হাসপাতালসহ বাজারের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সাথে এই গরমের মাঝে বেশীরভাগ ওষুধের দোকানে ভিড় লক্ষন করা যায়।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ আশাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, সুস্থ থাকতে হলে রাস্তার ধারে ফুটপাতে খোলা জায়গায় বিক্রি করা খাবার খাওয়া যাবেনা। গরমে সবাইকে প্রচুর পানি পান করতে হবে ।ঘরের পরিবেশ যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখা গেলে ডায়রিয়া ও শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
এবিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রচন্ড গরম পরায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কয়েকদিন আগে একবার বৃষ্টি হয়েছে,কিন্তু তারপর আবার ব্যপস্যা গরম। অচিরেই আবার বৃষ্টি না হলে কৃষকদের ক্ষতি হতে পাড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *