জামায়াতের ১১ নারী সদস্য কারাগারে

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি হাজীগঞ্জে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ১১ নেত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে হাজীগঞ্জ বাজারের কাতার-কানাডা টাওয়ারের ১১ তলার অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সালামের বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আটককৃতদের চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ।
হাজীগঞ্জে অবসরকালীন ছুটিতে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালামের ভাড়া বাসায় ‘গোপন বৈঠককালে’ জায়ামাতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করেছে বলে জানায় পুলিশ।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ কিউসি (কাতার-কানাডা) টাওয়ারে ১১ তলার ওই বাসাতে বৈঠক চলাকালে তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, কিউসি টাওয়ারের ১১ তলার ‘বি’ ব্লকে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মরত ছিলেন। চলতি বছর তিনি অবসরকালীন ছুটি যান বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
তিনি বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত ওই বাসায় জামায়াতের নারী সদস্যরা আসা-যাওয়া করতো এবং গোপনে বৈঠক হতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসাসহ ভবনটি নজরদারীতে রাখে পুলিশ। এরপর রোববার গোপনে বৈঠক চলাকালে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে জামায়াতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসা থেকে জামায়াতের মতাদর্শের বই, প্রচারপত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ বই ও দাওয়াতি কার্ডসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কিউসি টাওয়ারের ‘বি’ ব্লকের সত্ত্বাধীকারী মো. সফিকুর রহমানের সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তাঁর অফিস সহায়ক (দারোয়ান) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ওই বাসায় প্রায় সময় মহিলারা আসা-যাওয়া করতো। তারা কি জন্য বা কি কারণে আসা-যাওয়া করতো, তা তিনি জানেন না। এখন নারীদের আটক হওয়ার পর তিনি বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান।
এ দিকে ওই সময়ে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে অবসরকালীন ছুটিতে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে ওই স্থান থেকে সরে যান। পরে তাঁকে না পাওয়ায় এবং তাঁর মুঠোফোন সংগ্রহ করতে না পারায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আটকরা হলেন, নাছরিন খানম (৫২), আঞ্জুমানারা লাকি (৪০), শাহানারা বেগম (৪৩), ফাতেমা (৪২), হাছিনা (৪৭), সালমা আহম্মহ, জেসমিন আক্তার (৪৮), নেহারা বেগম (৫৭), শিরিনা বেগম (৪২), মাসুদা বেগম (৪২) ও সেলিনা আক্তার (৪৩)।
হাজীগঞ্জ থানার পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. সফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে গোপন বৈঠকে বসেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *