চাঁদপুর নাশকতার মামলায় দীর্ঘ ১২ দিন কারাভোগের পর অবশেষে জামিন পেলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নব-নির্বাচিত সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল একই আদালত শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৮ সালে চাঁদপুর শহরে দলীয় কর্মসূচি পালন নিয়ে একটি নাশতার মামলায় অভিযুক্ত হয় জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ বেশকিছু নেতাকর্মী। মামলাটি নিন্ম আদালত থেকে অভিযোগ গঠন হয়ে উচ্চ আদালতে স্থানান্তর হয়। তারপর সেই মামলায় জামিন নিতে গেলে তা গত ১০ এপ্রিল নামঞ্জুর হয়।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের আইনজীবী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যড. সলিম উল্লাহ সেলিম জানান, আদালত থেকে জামিননামা কারাগারে পৌঁছাল বিকেলে চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন মানিক। তবে সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড় না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী জেল গেইটে তাকে স্বাগত জানান।
১১ দিন কারাভোগের পর আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাবুরহাটস্থ চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি বের হন। চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁকে নেতা-কর্মীরা মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে চাঁদপুরস্থ নিজ বাসায় নিয়ে যায়।
এর পূর্বে জামিনের খবর শুনে সকাল থেকেই চাঁদপুর জেলা বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য জেলা কারাগারের সামনে নেতা-কর্মীরা জমায়েত হতে থাকেন। চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান এর আদালতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রিয় নেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল রবিবার চাঁদপুর সদর মডেল থানার নাশকতার মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন মানিকের আইনজীবীরা। বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।