মেঘনা তীরবর্তী অঞ্চল হাইমচর মেঘনার জোয়ারের প্লাবিত হয়ে গেছে। আকস্মিক জোয়ারের কারণে মেঘনা তীরবর্তী অঞ্চলের বাড়ীঘরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলাচলের রাস্তাও ডুবে গিয়েছে । একদিকে মহামারী করোনার ভয়াল থাবা অন্যদিকে মেঘনার জোয়ার। উভয় সঙ্কটে পড়ে গরীব, দুঃখী, অসহায়, কর্মহীন, দিনমজুর পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে।
৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর থেকে মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ারে হাইমচর উপজেলার লামচরী, মহজমপুর, কৃষ্ণপুর, চরভাঙ্গা, পাড়া বগুলা সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এতে বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গৃহপালিত পশু হাস-মুরগী, গরু-ছাগল নিয়ে যেমনি বিপাকে তেমনি ফসলের মাঠ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন কৃষক ও চাষিরা। সকাল ৭ পর্যন্ত পানি বাড়লেও ৮.৩০ মিনিট থেকে ভাটায় পানি কমতে থাকে।
সকালে ভাটায় পানি কমে গেলেও বিকেল ৪ টা থেকে পুনরায় জোয়ারে পানির চাপ বাড়তে থাকে। এতে সকালের চেয়ে তিনগুণ পানিতে তলিয়ে যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, গত দু’দিন যাবৎ পানির চাপ কম থাকলেও মঙ্গলবার ও বুধবার বিকেলের দিকে পানির চাপ দিগুণ বাড়ে । এদিকে মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ারে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ সহস্রাধিক পরিবার। পানি নিষ্কাশনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় পানি আটকে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন- মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ারে তলিয় যাওয়া এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজ নিতে ইতিমধ্যে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছে একদল সেচ্ছাসেবক টীম। তিনি আরও বলেন পানিবন্দি এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পানি নিষ্কাশন করে পানিবদ্ধতা নিরসন করা হবে।
হাইমচরপ্রতিনিধি