আশিক বিন রহিম দূর থেকে দেখলে যে কারো মনে হতেই পারে, এটি কোন ভোটকেন্দ্র কিংবা ন্যায্যমূল্যের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে কমদামে খাদ্যপন্য কিনতে আসা নারীদের সিরিয়াল বা লাইন।
কিন্তু না, এটি চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) নিতে আসা শিক্ষার্থীর দীর্ঘ লাইনের একাংশ। শিক্ষার্থীদের লাইনটি সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সাঁপের মতো আঁকাবাঁকা হয়ে পৌর ঈদগাহ মাঠে এসে ঠেকেছে।
৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর পৌর ঈদগাহ মাঠের ভিতরেও দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। শিক্ষার্থীদেরকে সিভিল সার্জন অফিস থেকে টিকা গ্রহণ করতে হয়। গ্রামের স্কুল থেকে আসা এসব শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন আসছে টিকা গ্রহণের জন্য। এসময় এসব শিক্ষার্থীদের সাথে আসেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরা। টিকা গ্রহণে দীর্ঘ সময় পার করতে হচ্ছে সবাইকে। এতে অনেকেই দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তবে টিকা গ্রহণ করতে পেরে সবার মাঝে স্বস্থি দেখা যায়।
তবে অনেক অভিভাবক ও শিক্ষকরা এতে অনেকটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, দ্রুত টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই দুর্ভোগ কমবে। এর জন্য বুথ ও জনবল বাড়ানোলে অনেক ভালো হবে। গ্রাম থেকে সবাই আসে। এতে আসতে যেমন দুর্ভোগ তেমনি ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করাও অনেক কষ্টের। তাই এ জটিলতা কমাতে হলে অবশ্যই এদিকে সিভিল সার্জনকে নজর দিতে হবে।