ডিজিটাল থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হবে : সচিব

মনির হোসেন যত্নে রাখি শিশু ও মা, গড়ি আগামী সম্ভাবনা এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি অবৈধ করন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ১৮ (ডিসেম্বর ) রবিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন পক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে এই সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়,( সচিব) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল।
তিনি বলেন, আপনারা হয়তো জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। শিশুদের কল্যাণে কিশোর কিশোরী ক্লাব খোলা হয়েছে। কয়েকজন ছেলে ও ২০ জন মেয়ে নিয়ে এ ক্লাব খোলা হয়।এ ক্লাবে কিশোর-কিশোরীদের সপ্তাহে দুই দিন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই প্রশিক্ষণে গান বুদ্ধ মাতৃক কবিতা, যৌতুক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ অভিযান ও কাউন্সিল করা হয়। এক্ষেত্রে শিশুদের মাঝে মেধা বিকশিত হয়। প্রত্যেক ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। এখানে যে শিশু-কিশোরদের ,কচিকাঁচা, গান সন্ত্রাস বিরোধী যৌতুক বাল্যবিবাহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সে বিষয়ে ইউনিয়নের সকল পর্যায়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এতদিন ধরে শুনেছি ডিজিটাল বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন এতদিন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হবে। এখন আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা যদি স্মার্ট শিশু জন্মগ্রহণ করাতে না পারি যে শিশু মরনে মেধায় শরীরে যদি প্রাথমিক না হতে পারে। তাহলে আমরা আগামী জ্ঞান ,সম্মিলিত সমাজ আগামী প্রজন্মকে মেধাবী করতে পারবো না। এই বাংলাদেশে আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
আমাদের টেমপ্লেইনের পাঠ হচ্ছে একজন গর্ভবতী মহিলাকে ভালো খাবারটা খাওয়াতে হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা দেখি খাদ্য শিশু জন্মগ্রহণ করে এবং অনেক সময় শিশুর অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয় কাজে মায়া যদি ভালো পুষ্টিটা পায় তাহলে এই সুন্দর শিশু পৃথিবীতে আসবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিক ভাইয়েরা ও আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারেন আপনারা আপনাদের পত্রপত্রিকায় এগুলো নিয়ে লেখালেখি করলে প্রচার-প্রচারণা আরো বাড়বে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, আমরা শুধু দুগ্ধ ভাতা দিচ্ছি না আমরা পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। ফলে আমরা একজনের সচেতনতা তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা এখন এলাকা ভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। চাঁদপুরে ইলিশ হয়তো বিখ্যাত তার পাশাপাশি আমাদের কি কি জিনিস বিখ্যাত আছে সেগুলো নিয়েও আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মনোয়ারা ইসরাত, চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার),চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী,
চাঁদপুর মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাছিমা আক্তারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *