কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূলমন্ত্র এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। কিন্তু খোদ রাজধানীতেও মশক নিধন কার্যক্রমের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী ও স্বজনরা। স্বাস্থ্য দফতরের খবরদারি নেই। পরিস্থিতি এমন যে, নিজেরা সচেতন না হলে ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় নেই। ঘরে ঘরে এডিস মশার জন্মস্থল ধ্বংস করা, বাড়ির আশপাশে পানি জমে এমন জায়গা, বদ্ধ জলাশয় পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি নিজেদের দায়িত্বে করতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ডেঙ্গু হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেন। দিনের বেলায় মশারি টাঙানো, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ফুলহাতা জামা ও হাত-পায়ে মোজা পরারও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
দিনে ঘুমালে মশারি ব্যবহার করা বা অ্যারোসল স্প্রে করতে হবে। ডেঙ্গু মৌসুমে বাইরে গেলে হাত-পা ঢাকে এমন পোশাক পরতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে সব সময় মশারির ভেতরে রাখতে হবে। দেশীয় পদ্ধতিতে পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গুতে বিশেষ উপকারী বলে আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে। সম্ভব ক্ষেত্রে পেঁপে পাতার রস সেবন করা যেতে পারে। তবে ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে বাঁচতে সর্বোপরি আমরা মনেকরি চাঁদপুরেও স্থানীয় পর্যায়ে মশা নিধন কার্যক্রম হাতে নেওয়া জরুর্যী।