তাপদাহে ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি

স্টাফ রিপোর্টার: সারা দেশের ন্যায় গত কয়েক দিন ধরে চাঁদপুরেও চলছে তীব্র দাবদাহ। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বৃষ্টির হয়নি। ফলে তীব্র রোদ্রের প্রভাবে আমের মুকুল ফুটে বের হওয়া গুটি ঝরে পড়তে শুরু করেছে। কৃষি বিভাগ জানায়, কয়েক দিনের মধ্যে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমের গুটি ঝরে পড়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে চাঁদপুর জেলায় যেই পরিমান আম গাছ রয়েছে। তাতে এবার ব্যাপক ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। এসব গাছে বৃষ্টির পানি পড়লে আমের গুটির জন্য বেশ উপকারী হবে। তাপদাহ চলতে থাকলে আমের গুটি রক্ষা করা যাবে না।
স্থানীয় একটি বাগানের শ্রমিক জাকির হোসেন চাঁদপুর সময়কে বলেন, ‘গত বছরের প্রথম দিকে তীব্র দাবদাহে আমাদের বাগানে আমের ফলন কম হয়েছে। এবারও বৃষ্টি না হওয়ায় ভিশন দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। আশাকরি বৃষ্টি হলে আম উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আর যারা আমের চাষ করেন তাদের বিগত বছরে করোনার কারণে সে সময় আম চাষে লোকসান হয়। কিন্তু এবারের আবহওয়াটা গত বারের চাইতে অনেক ভিন্ন। মৌসুমের প্রথম দিক থেকেই তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। আগামীতে আবহওয়া কেমন থাকবে তা বোঝা এখন দায় হয়ে গেছে।’
হাইমচরের আম বাগানের মালিক লুৎফুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি ঝড়ে পড়ছে। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে আমের গুটি পড়া রোধ করা যাবে। আর যদি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় তাহলে আমের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আমের গাছে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য না থাকলে কিছু সময় ধরে মুকুলের গুটি ঝড়ে পড়ে। কিন্তু এ সময়ে তিব্র ক্ষরায় আরও আমের গুটি ঝড়ছে। আগামী সময়ে যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে তাহলে আমের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যাবে।’

আমরা বাগানের মালিক জাকির হোসেন আরো বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি এ সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে গুটি ঝরা বন্ধ হবে না। আর এ সময়ে আম চাষিরা সেচের ব্যবস্থা করলে, কিছুটা হলেও গুটি ঝরা রোধ করা যেতে পারে। তবে দিনে নয়, রাতে সেচ দিতে হবে। দিনে সেচ দিলে আম গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

কৃষি বিভাগ বলেন, তীব্র ক্ষরায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে আমের গুটি ঝড়া রোধ হবে।’ তারা আরো বলেন, ‘এ বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ করা হয়েছে বিগত বছরের তিনগুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *