গতকাল মেঘনাবক্ষে প্রশাসনের অভিযান প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ সেলিম খান জানান, মহামান্য হাইকোর্টের ৪৫৭৫/২০১৫ নং রিট পিটিশন-এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রয়ারি দেয়া রায়ের আদেশের আলোকে জেলা প্রশাসক চাঁদপুর ২০১৯ সালের ২০ মার্চ ৩৪১ নং স্মারকে ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ঘনফুট বালি/মাটি নির্দিষ্ট বেশ কিছু মৌজা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট অনুয়ায়ী উত্তোলনের জন্যে বিআইডব্লিটিকে পত্র প্রেরণ করেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুরের তৎকালীন উপ-পরিচালক ৬ নং স্মারকে ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ঘনফুট বালি/মাটি উত্তোলনের জন্যে দখল বুঝিয়ে কার্যাদেশ প্রদান করেন।
বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্ট, জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বিআইডব্লিটিএর দেয়া চিঠির কোথায় উল্লেখ নেই যে, উত্তোলনকৃত বালি বিক্রি করা যাবে না বা বিক্রি করা যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব বালু মহাল ইজারা হয়ে থাকে, সেখানেও বালু/মাটি বিক্রি করা যাবে বলে উল্লেখ থাকে না। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের আলোকে আমার প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিবন্ধকতা কিংবা বাঁধার বিষয়ে আমার বিজ্ঞ আইনজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেয়া হবে। – সেলিম খান, সত্ত্বাধিকারী মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজ ও চেয়ারম্যান ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন।