নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে উদ্যোগ নিতে হবে

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
বাংলাদেশে ভেজালমুক্ত খাদ্য আর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া যেন সমার্থক শব্দ। এমন কোনো খাদ্যপণ্য নেই যেখানে ভেজাল নেই। খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় দেশ খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে। পাঁচ দশকের আগের চেয়ে মানুষ প্রায় দ্বিগুণ খাদ্য গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা ছিল যে দেশের নিত্য সহচর, তা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। এ সাফল্য সত্ত্বেও বাংলাদেশের খাদ্যের মান নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। খাদ্য নিরাপত্তা পাশ কাটিয়ে এখন আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপদ খাদ্য। খাবারে ভেজালের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায়ই খাদ্য চালান ফেরত আসছে নিরাপত্তার অজুহাতে।
খাবারে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। ফল দ্রুত পাকাতে দেওয়া হয় কারবাইড। সবজিতেও ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে জীবনীশক্তি অর্জন ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু ভেজাল ও ক্ষতিকর খাদ্য মানুষের জীবনীশক্তি কেড়ে নেয়। সুস্থতার বদলে অসুস্থতা নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়ায়। অনিরাপদ খাদ্য বাংলাদেশে ক্যান্সারসহ নানান জটিল রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ বিপদ কাটাতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও উদ্যোগী হতে হবে। জনস্বার্থে এটি সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *