স্টাফ রিপোর্টার
গতকাল চাঁদপুরের সবর্তত্র একটি বিষয় সর্বাধিক আলোচিত হয়েছে। তা হলো চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হচ্ছে কিনা। স্যোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই সংবাদ মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়লে পক্ষে বিপক্ষে তুমুল
লেখালেখি শুরু হয়। গতকাল জাতীয় দৈনিক পত্রিকা যুগান্ত ও আমাদের সময় পত্রিকায় “আইনি জটিলতায় চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার নির্বাচন স্থগিত, ২৭ জেলায় পদহীন বিদ্রোহী” শীরো নামের এই সংবাদটিই
মূলত এই আলোচানর জন্ম দেয়। সংবাদে বলা হয় ‘আইনি জটিলতায় নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
অবশিষ্ট ৩২ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। এর মধ্যে ২৭ জেলায় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও বর্তমানে পদহীন ব্যক্তিরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে
দৃঢ়ভাবে কাজ করছেন। তবে দলীয় পদপদবি না থাকায় এ ২৭ জেলার বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে নেওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। অবশ্য পরবর্তী সময়ে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদপদবিতে যেতে
পারবেন না। বাকি পাঁচ জেলায় দলীয় পদে আছেন এমন নেতারা যারা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ জেলা থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এ জেলাগুলো হচ্ছে
শেরপুর, সুনামগঞ্জ, রাজবাড়ী, রংপুর ও কক্সবাজার।
গতকাল দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তবে এ ব্যাপারে চাঁদপুর নির্বাচন কমিশনও বলেছে এ ব্যাপারে তাদের কাছে এধরনের কোন বার্তা আসেনি। এছাড়া
জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক এই সংবাদের সত্যত্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এই সংবাদের সত্যতা কতটুকু তা সময়ই বলে দিবে বলে মনে করছেন অনেকে। অনেকে বলছেন এটি স্রেফ গুজব।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে এরই মধ্যে ২৭টি জেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৩৪ জেলা পরিষদে নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর হওয়ার কথা রয়েছে।