জেলা পরিষদ নির্বাচনের আর মাত্র বাকি দু’দিন

 

প্রতিবেদক

ঘনিয়ে এসেছে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২। আর বাকী চার দিন। ১৭ই অক্টোবর সারা দেশের সাথে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন না হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে চাঁদপুর

সদর সাধারণ সদস্য পদে একজন মনিরুজ্জামান মানিক (হাতি) ছাড়া সবাই আওয়ামীলীগ ঘরনার নেতাকর্মী ও সমর্থক বলে জানা যায়। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সর্মথিত প্রার্থী নেই এখানে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ গাজী। মামলা সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিব্দন্দিতা নিরুত্তাপ হয়ে আসে। তবে ইউসুফ গাজীর অনুসারীরা শেষ অবদি নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে এমনটাই জানিয়ে আসছিলেন এতোদিন। কিন্তু সেটা আর কতদূর তা কেবল সময়ের ব্যপার মাত্র।
চেয়ারম্যান পদে সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়াই হচ্ছেন (মোবাইল প্রতীক) এখানে ফেভারিট এবং শক্তিশালী প্রার্থী। এমনটাই মনে করছেন চাঁদপুরের সচেতন মহল। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হাজীগঞ্জের জাকির হোসেন প্রধান। তিনি নির্বাচন করছেন আনারস প্রতীক নিয়ে। এই দুজনের মধ্যেই ভোটাররা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
মুলত নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে ৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের প্রার্থীদের মধ্যে। নির্বাচনে মুল আকর্ষণ সেই দিকেই থাকবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল। আবার ওচমান হাজী বিরোধীরা মনে করেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারসের জাকির হোসেন প্রধান শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলবেন। এখন দেখার অপেক্ষা চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল কি হয়।
চেয়ারম্যান পদে ২, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১২ ও সাধারণ পদে ৩৫ জন সব মিলে তিন পদে মোট ৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচিত হবেন চেয়ারম্যান পদে ১ জন,সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ৮ জন। মোট ভোটার ১২৭৩ জন।ভোট কেন্দ্র ৮ উপজেলায় ৮টি। ভোট হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে( ইভিএম)।
এদিকে,নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বিশেষ সভা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান। ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালে হচ্ছে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন। দেশের স্থানীয় সরকারের ৫ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবল জেলা পরিষদ নির্বাচনটি নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। পরোক্ষ ভোটে অনুষ্ঠেয় এই পরিষদে স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই হচ্ছেন ভোটার (নির্বাচকমণ্ডলী)। তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলার স্থানীয় সরকারের চার ধরনের (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ) প্রতিষ্ঠানের মোট সংখ্যা ৫ হাজার ২৪০টি। এতে মোট জনপ্রতিনিধি ৬৫ হাজার ৪৯৬ জন। আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিই জেলা পরিষদের ভোটার (নির্বাচকমণ্ডলী)। তবে এদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কোনও প্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত হলে তিনি ভোটার হতে পারবেন না। ফলে জেলা পরিষদে সারা দেশে মোট ভোটার ৬৫ হাজার ৪৯৬ জন বা তারও কম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *