দীপিকা ও রণবীর—দুজনই অভিনয়শিল্পী। তবু রণবীর শ্বশুরবাড়ি গেলে মোটেও বিনোদন দুনিয়া নিয়ে কোনো আড্ডা হয় না। হয় না সিনেমা নিয়ে কোনো কথা। সেখানে যত দিন থাকেন, রণবীরের সময় কেটে যায় খেলাধুলা করে। জানেন তো তাঁর শ্বশুর কে?
রণবীর সিংয়ের শ্বশুর প্রকাশ পাড়ুকোন ভারতের সেরা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। তাঁর শ্যালিকা অনিসা পাড়ুকোনও নামকরা গলফার। এমনকি দীপিকাও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাডমিন্টন খেলেছেন। এমন পরিবারের গেলে কি আর খেলার বাইরে অন্য বিষয় নিয়ে আড্ডা হয়? অবশ্য খেলার জগতের প্রতি রণবীরে আগ্রহ পুরোনো। প্রায়ই তাঁকে দেশ-বিদেশের খেলার মাঠে বা গ্যালারিতে দেখা যায়।
এনবিএ দেখতে আমেরিকায়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ দেখতে ইংল্যান্ডে ছোটেন রণবীর!
একবার ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছিলেন, দীপিকার বাবার বাড়িতে গেলে তাঁর স্পোর্টস-প্রেম আরও বেড়ে যায়!
রণবীর প্রায়ই শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। জানান, তাঁর শ্বশুরবাড়ির টিভিগুলোয় সারাক্ষণই কোনো না কোনো খেলার চ্যানেল চলে। পরিবারের সদস্যরা টিভিতে কোনো না কোনো খেলা দেখেন।
রণবীরের ভাষায়, ‘বাড়িতে এই পরিবারের মানুষের একটাই অভ্যাস, সবাই একসঙ্গে বসে টিভিতে কোনো লাইভ ম্যাচ দেখা। তা ক্রিকেট হতে পারে, ফুটবল হতে পারে, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, অলিম্পিক। আমার শ্যালিকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত, এই নিয়ে আমাদের খুব লড়াই চলে। আইপিএলও চর্চা হয়। শ্বশুরবাড়ির সবাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ভক্ত আর আমি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের। আর কিছু লাগে!’
রণবীর কথায় কথায় জানান, দীপিকার সঙ্গে আজ পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন খেলায় তিনি জিততে পারেননি। দীপিকা প্রতিবার তাঁকে হারিয়ে দেন।
হাসতে হাসতে রণবীর বলেন, ‘প্রতিবার খেলার সময় যেন আমাকে পেছনে লাথি মেরে হারায়। ২০১২ সাল থেকে আমাদের প্রথম দেখা-সাক্ষাৎ। এই ১০ বছরে আমি প্রতিবার তার কাছে হেরেছি। এমন নয় যে আমি কখনো সিরিয়াসলি চেষ্টা করিনি। ঘেমেনেয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকি, তা-ও লাভ হয় না। আগে তো ৫-১০ পয়েন্ট পেতাম। এখন ১৫-১৬ পাই। আমি উঠছি ধীরে ধীরে, কিন্তু এখনো দীপিকাকে হারানোর মতো দক্ষতা তৈরি করতে পারিনি।’
রণবীর অবাক হন তাঁর শ্বশুরের ব্যাডমিন্টন দক্ষতা দেখে। তাঁর ভাষায়, ‘আমার শ্বশুর নিজে কোর্টের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবেন। আর উল্টো দিকে যে থাকবে, তাকে এদিক থেকে ওদিকে দৌড় করাবেন। তিনি একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি। জীবন নিয়ে তাঁর বুদ্ধি ও ভাবনা তিনি যেভাবে পরিবারের অন্যদের বোঝান–জানান, সেটা অবিশ্বাস্য। আমি সত্যিই ধন্য তাঁর থেকে জীবনের যে শিক্ষা পেয়েছি, তার জন্য।’
দীপিকা আর রণবীরের পরিচয় ২০১২ সালে। কয়েক বছর প্রেম করার পর ২০১৮ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।