মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

 

somoy news

 

আগামী ১৯ আগস্ট (২০২২) থেকে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদনের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম. সারাভানান।

তিনি বলেন, আগে সাময়িক স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও শিল্প-কারখানার মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, কারখানার মালিকদের অনুরোধে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে নতুন আবেদনগুলো প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) উইসমা এইচআরডি করপোরেশনে বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই মাসের শেষের আগে প্রায় ৪ লাখ বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আগের সমস্ত আবেদনগুলো পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা হবে।’

সারাভানান বলেন, বিদেশি কর্মীদের সমস্যাটি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য, মন্ত্রণালয় শিল্প-কারখানা থেকে ১৫ সদস্য এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৫ প্রতিনিধির একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে।

 

‘অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে শিল্পকারখানাগুলোকে সহায়তার জন্য যখনই প্রয়োজন তখনই এই কমিটি অবিলম্বে আলোচনা করবে। আমরা দেখছি বেকারত্বের হার কমতে শুরু করেছে এবং এটি একটি ভালো বিষয়,’ তিনি যোগ করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৪৮ থেকে ৪৫-এ নামিয়ে আনার বিষয়ে কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫-এর সংশোধনী বাস্তবায়ন স্থগিত করার জন্য কারখানার অনুরোধের বিষয়ে, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে  আলোচনা করা দরকার।

‘সংশোধনের বিষয়ে দুটি প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। শ্রমিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে, তারা ১৫ মিলিয়ন শ্রমিকদের জন্য এটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়কে আরও গতি দিতে চায়।’

 

মন্ত্রী বলেন, যখন আমরা শিল্প মালিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি, তখন তারা অনুরোধ করেছেন আমরা এটি স্থগিত করি। কারণ শিল্প মালিকরা করোনায় ধাক্কায় সবেমাত্র অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে। আমি উভয়পক্ষের অনুরোধ বুঝতে পেরেছি। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর সংশোধনী সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৪৮ থেকে কমিয়ে ৪৫ করার জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

 

নতুন নিয়মের অধীনে, কর্মচারীদের স্থান, সময় এবং কাজের দিনের উপযুক্ততার ওপর ভিত্তি করে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  এই সংশোধনীর লক্ষ্য শ্রমিকদের কল্যাণের দিকে নজর দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কনভেনশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজের সময় শিথিল করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *