প্রাথমিকে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত, ফল ১৪ ডিসেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। সারা দেশে নতুন করে শিক্ষক শূন্য পদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত শূন্য পদ যুক্ত করে ৩৭ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। এক্ষেত্রে আগে ৩২ হাজার শিক্ষক নেওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে আরও পাঁচ হাজারের মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের শূন্য পদের সংখ্যা আরও বেশি। ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত শূন্য পদ ধরে এ ধাপে নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় হাজার শিক্ষক অবসরে যান। চলমান প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রতি বছর দুটি করে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এবার প্রথম বুয়েটের সহায়তায় উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে আমরা সফল হয়েছি। যেহেতু এক বছরে আমাদের অনেক শিক্ষক অবসরে চলে যায়। সেটি ব্যবহার করে প্রতি বছর দুটি করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চিন্তা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা যায়, সহকারী শিক্ষকের পদসংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে এ সংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। সে কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করা প্রার্থীরা আন্দোলনে নামে। দফায় দফায় তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘোরাও করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। পরে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব শূন্য পদে নিয়োগ দিতে বলা হয়। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য পদ বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফলাফল প্রকাশের সময় পিছিয়ে দেয়।
জানা গেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩২ হাজার ৫৭৭ টি পদের সঙ্গে শিক্ষক শূন্য আরও পাঁচ হাজার যুক্ত করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে এ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯-এর ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারার (ঘ)-তে বলা হয়েছে, নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (নারী ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও অবশিষ্ট পুরুষ) অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শর্ত থাকে, এভাবে ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
জানা গেছে, এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হবে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *