কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল সম্প্রতি দৈনিক চাঁদপুর সময় পত্রিকায় “ নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব চাঁদপুরের হাট-বাজার” শীরো নামে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। এতে দেখা গেছে মানুষ হাট-বাজারে গিয়ে পলিথিনে জিনিষপত্র কিনে আনছে। এছাড়া বাজারের সর্বত্র পরিত্যক্ত পলিথিনে একাকার।
ইদানীং ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের কাপের বিপুল ব্যবহার শুরু হয়েছে। কাঁচাবাজার, দোকান, রেস্তোরাঁয় ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। একবার ব্যবহারের পর এগুলো আমরা যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছি। বৈশ্বিক প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের মাত্রাও বর্ধমান। প্রতি ১১ বছরে বিশ্বে সমুদ্রে প্লাস্টিক জমা হওয়ার পরিমাণ দ্বিগুণ হচ্ছে। সেখান থেকে সামুদ্রিক প্রাণী ও পাখিদের পেটে যাচ্ছে। এতে আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে ঢুকে পড়ছে প্লাস্টিক। জানা যায়, আমাদের দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বহু বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ, খাদ্যচক্রে প্লাস্টিক কণা প্রবেশ বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কৃত্রিম তন্তু থেকে তৈরী স্বল্পসময়ে ব্যবহারের পণ্য নিয়ে এখনই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। এখনই এই ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। পলিথিনের ব্যবহার কমাতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এর জন্য বিকল্প উপায় এবং উৎপাদনে মনোনিবেশ করা দরকা। আর সেটা হতে হবে সাশ্রয়ি এবং সাধারন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে।