মোশারফ হোসেন ফারুক মৃধা ফরিদগঞ্জ থেকে-চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শ্রবণপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫ ) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অটোবাইক ও সিএনজি অটোরিকসা চালকসহ ৬ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায় শ্রবনপ্রতিবন্ধী এ কিশোরীকে। গত ১১ জানুয়ারি উপজেলার ৪নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করলেও অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকালে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, শ্রবণপ্রতিবন্ধী কিশোরীটি গত ১১ জানুয়ারি বিকালে বুকের ব্যথার ওষুধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় একই বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে অটোবাইকচালক টিটু (২০) কৌশলে তার অটোবাইকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে জোর পূর্ধক ধর্ষণ করে।
এরপর তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাত হয়ে গেলে অন্য সহযোগীরা পালাক্রমে দ্বিতীয়বার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এলাকায় এবং সর্বশেষ পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। এরপর ওই বাগানের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়ি ফিরে কিশোরী পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনা জানায়। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী।
গত সোমবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায়। কিশোরী ও তার পরিবারের বক্তব্যের সূত্র ধরে অভিযানে বের হয়।
রাতভর অভিযান চালিয়ে জামাল হোসেনের ছেলে অটোবাইকচালক টিটু (২০), আইটপাড়া গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে শিপন (২৫), একই গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিক প্রকাশ কালুর ছেলে মিজানুর রহমান রিপন (৪৫) এবং মঙ্গলবার বিকালে কামতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে চৌকিদার আ. মালেককে (৪৫) আটক করে। আটককৃত প্রথম তিনজন সিএনজি অটোরিকশাচালক।
পরে মঙ্গলবার বিকালে ঘটনার স্বীকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, সোমবার রাতে ঘটনাটি শোনার পর রাতেই অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৩ জন এবং মঙ্গলবার বিকালে আরও একজনসহ মোট ৪ জনকে আটক করা হয়। বাকী আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।