কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েলচাঁদপুরের সর্বত্র কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার লক্ষনীয়। যা জন স্বাস্থ্যের জহন্য হুমকিই নয় বরং মরনঘাতি কর্মকান্ড। নিরাপদ ফসল উৎপাদন শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্য নয়, সার্বিকভাবে দেশের জন্য উপকারী। উচ্চফলনশীল জাতের ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে রাসায়নিক এবং কীটনাশকসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে আগে যেখানে এক বিঘা জমিতে পাঁচ থেকে ছয় মণ ধান হতো, এখন সেখানে হচ্ছে ৩০ মণ। উৎপাদন দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়লেও এতে মাটির উর্বরাশক্তি মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। মাটির জৈব উপাদান বা অর্গানিক ম্যাটার কমে যাচ্ছে। আমাদের দেশের ফসলি জমিতে জৈবপদার্থের পরিমাণ এখন ৫ শতাংশও নেই। মৃত্তিকাবিষয়ক গবেষণা থেকে এ তথ্য আমাদের জানা।
মৃত্তিকাবিজ্ঞানীরা অবশ্য মাটিতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন। অর্থাৎ মাটি পরীক্ষা করে তাতে যেসব উপাদানের ঘাটতি আছে সেগুলোর প্রয়োজনমতো প্রয়োগ করতে হবে।
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে জনস্বাস্থ্য ও মাটির উর্বরাশক্তির দিকটি বিবেচনায় নিলে সবধরনের রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার বন্ধের বিকল্প নেই। এ বিষয়ে কৃষকসহ জাতীয় পর্যায়ে অধিক সচেতনতা প্রয়োজন।