বর্তমান সরকারের আমলে কেউ না খেয়ে নাই : জেলা প্রশাসক

আশিক বিন রহিম সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরে দেড় শতাধিক দরিদ্র রোগীকে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়োছে।৩ এপ্রিল রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেকে রোগীদের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।এরমধ্যে ১১৫ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

আর জেলা সমাজকল্যাণ কমিটির তহবিল থেকে ৪৮ জনকে ৩ লাখ ৫৫হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকারের সভাপতিত্বে ও সহকারি পরিচালক মিয়া মো. ফিরোজের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আসিফ মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধি ডা. সাখাওয়াত হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কথা ভাবেন। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আজকের এই আয়োজন। আপনাদের তালিকা খুবই পরিচ্ছন্নতার মাঝে আমরা যাচাই-বাছাই করে থাকি। এই টাকা দিয়ে আপনাদের কিছুটা হলেও উপশম হবে আশাকরি। আপনাদের কল্যাণের জন্যেই প্রধানমন্ত্রী এই টাকার ব্যবস্থা করেছেন। প্রত্যেকটা মানুষ যারা কষ্টে আছেন তাদের কথা প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেন। অঞ্জনা খান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কেউ না খেয়ে নাই। করোনাকালীন সময়েও আমরা ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি।

চাঁদপুরে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এধরণের রোগীদের ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। কেউ যেন বঞ্চিত না হয় তার জন্যে কমিটি করা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও সুন্দর পদ্ধতি নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। যে পরিবারের এধরণের রোগী থাকে সে পরিবার অনেক কষ্টে থাকেন। আপনাদের কিছুটা কষ্ট লাগুবের জন্যে এই চেক প্রদান করা হচ্ছে।

এসময় উপস্থিত চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবযানী কর, সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার (নিবন্ধন) মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১১৫ জন রোগীকে ৫০হাজার টাকা ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক এবং বিভিন্ন অন্যান্য আবেদনকারী ৪৮ জনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৬১ লাখ ৫হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *