কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। স্বৈরাচারী, ঝুলুম সরকার চাচ্ছেন না, তিনি বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করান। তিনি তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছেন। আমরা দাবী জানাচ্ছি তাকে বিদেশে সু-চিকিৎসা করানো হউক। যে কোন সময় আমাদের রাজপথে নামতে হবে। ভোটের অধিকার ও গনতন্ত্র রক্ষায় সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ বেইমানীর রক্ত নিয়ে রাজপথে নামবেন না।
৪ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে চাঁদপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নির্বাচন ও ভোটের সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে গিয়ে তারা আজকে হিজড়ার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়। আমি তৃতীয় লীঙ্গের মানুষকে অসন্মান করার জন্য কথাটা বলিনি। যদি এই দেশে কলাগাছ নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ পেত, তাহলে তারা সেখানেও হেরে যেত। আগে স্লোগান ছিল আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দেব। আর এই সরকারের শ্লোগান হলো আমার ভোট আমি দেব, যত খুশি তত দেব। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
হাবীব-উন-নবী খান সোহেল আরও বলেন, এ দেশের গ্রামীন সড়কের মাইলকে মাইল দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তৈরি করেছেন। নারী শিক্ষার জন্য বেগম রোকেয়ার পাশাপাশি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম চিরদিন থাকবে। কেউ তা মুছতে পারবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানেই বেগম খালেদা জিয়া।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিক এর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সেলিম উল্ল্যাহ সেলিম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান সফিকুজ্জামান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান।
এ সময় চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, মুনির চৌধুরী, সেলিমুস সালাম, খলিলুর রহমান গাজী, অ্যাড. হারুনুর রশিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী সোহেলের সাথে পৃথক বৈঠক করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও শহর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান শাহিন। তার সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারন সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান, পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি কাজী হুমায়ুন, কোষাধক্ষ কাইয়ুম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, সদর থানা বিএনপির নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাষ্টার, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মনির মিজি, শাহানুর বেপারী শানু, শহর বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মানিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক মেরাজ আহমেদ চোকদার, পৌর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ আলী, জেলা যুবদলের সদস্য দেওয়ান মোহাম্মদ জুয়েল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক খোকন মিয়াজী, জয়নাল গাজী, যুবনেতা সোহেল কাজী, রোকন উদ্দিন, বাদল বেপারী, মিন্টু তালুকদার, হুমায়ুন বেপারী, হানিফ বেপারী, রফিক হাওলাদার, জনু গাজী, রেদোয়ান খান, মনির খন্দকার, মনির তালুকদার, মজিব পাটওয়ারী, মোঃ হোসেন মইসা, যুবদল নেতা ওসমান গনি জনি, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ওসমান খান, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহআলম চোকদার, শ্রমিকদল নেতা মাইনুদ্দিন চোকদার, সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর চোকদার সহ বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
স্টাফ রিপোর্টার