মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হাইমচরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে মুক্তি পেল ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রী। বাল্য বিবাহ থেকে মুক্তি পাওয়া ছাত্রী আলগী উত্তর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খলিল গাজির মেয়ে খুরশিদা আক্তার সালমা বাজাপ্তী রমনিমহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী।
গত ১লা এপ্রিল শুক্রবার সকালে বাল্য বিবাহের গোপন সংবাদ পান হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী। পরে বিষয়টি তিনি আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান পাটওয়ারীকে অবগত করেন। ইউপি চেয়ারম্যান প্রথমে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খলিল গাজিকে মেয়েকে বাল্য বিবাহ না দেওয়ার জন্য বারন করা হয়।পরে বেলা ১২ টায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯ম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, আমি এই বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করি।চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এবং গ্রাম পুলিশ গিয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করে দেয়।
এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে জানালে আমি প্রথমে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ পাঠাই।পরে আমি নিজেই সেখানে যাই এবং ওর বাবা – মা ও এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করি।ওর বাবা-মা আমাকে আসস্ত করেন যে এই মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেনা। এখন থেকে এই মেয়েটি প্রতিদিন স্কুলে যাবে।