স্টাফ রিপোর্টার দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর মধ্যে নাড়ির টানে ছুটছে ঘুারমুখো মানুষ। আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের ট্রেন ও নৌপথে মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ঘরে ফিরতে শুরু করছে মানুষ। দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ছুটে চলা মানুষ ট্রেন যোগে চাঁদপুর হয়ে লঞ্চে পাড়ি জমাচ্ছে। বৃহত্ত্বর বরিশাল ও খুলনার যাত্রীরা চাঁদপুর হয়ে যাতায়াতের কারণে এই সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এদিকে চাঁদপুর কোট স্টেশনের প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। প্রতিটি ট্রেনই যাত্রি ভরপুর হয়ে চাঁদপুরে প্রবেশ করছে। এর অধিকাংশই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী।
এছাড়া চাঁদপুর বাস স্ট্যানেও যাত্রীদের চাপ লক্ষ্যনীয়। প্রতিটি বাস আসছে যাত্রী ভরপুর হয়ে। গত দুদিনে অসংখ্য যাত্রী নাড়ীর টানে চাঁদপুর এসেপড়েছে। বাড়তি ঝামেলা এড়াতে অনেকেই আগাম এসেগেছেন।
ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাড়ি ফেরার দুর্ভোগ কিছুটা কমাতে ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে যাত্রীরা গাদাগাদি করে অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই গন্তব্যে ছুটছেন।
যাত্রীসেবায় লঞ্চঘাটে নৌপুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট সদস্যসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নিলেই চালকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
এদিকে ঈদে লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যাতায়াত সুবিধা দেখতে ঘাট পরিদর্শন করেন বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম এবং নৌপুলিশের এসপি মো. কামরুজ্জামান। যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধায় লঞ্চঘাটে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
ঢাকা থেকে আসা লঞ্চযাত্রী মো. শামীম বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি আসছি। কিন্তু লঞ্চঘাটে অটোরিকশা-সিএনজি চালকরা ভাড়া দ্বিগুণ চাচ্ছে। ১০০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা চায়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, যাত্রীসেবায় আমরা ঘাটে মনিটরিং করছি। সুস্পষ্টভাবে কোনো অভিযোগ পেলেই জরিমানা করা হচ্ছে।
চাঁদপুর নৌপুলিশের এসপি মো. কামরুজ্জামান বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, তার জন্য নৌপুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো লঞ্চঘাট জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোনো যাত্রী অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে চাঁদপুর কোট স্টেশনে যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ শুরু হয়েছে।