এস আর শাহ আলম সরকারি নিষেধ অমান্য করে চাঁদপুর জেলার ডিলারা সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারে ভোজ্য সোয়াবিন তেলের সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকায় বিক্রি করছে। সরজমিন অনুসন্ধান করে জেলার একমাত্র বাণিজ্যিক ত্রলাকা পুরানবাজারে শুক্রবার ঘুরে দেখা যায়। বাজারে ১-২ লিটারের বোতল জাতের তেল নেই, তার সাথে ৫ লিটার বোতলের তেল দেখা গেলেও চাহিদা অনুযায়ী নেই বললে চলে, তবে ৫ লিটারের বোতলের তেলের লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা দরে, নানাহ ধরনের কোম্পানী গুলি যদিও বোতলের গায়ে তেলের মূর্ল আছে, তাহা নিয়ন্ত্রণহীন প্রথম দাপের সিল, সরকার ইতি পূর্বে তেল চিনির মূর্ল নির্ধারণ করে তালিকা গেথে দিলেও, ডিলাররা তাহা মানছে বলে আমরা বাজার গুরে দেখতে পাই, এদিকে খোলা সোযাবিন তেলও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে, তবে বোতল জাতের লিটার থেকে খোলা তেল একটি কেজিতে বেশি পাওয়া যায়, কেজি দরে ১৬০- ১৬৫ টাকা করে বিক্রি করছে, শহরের বাজার থেকে গ্রাম গুলির বাজারে খোলা তেলের কেজি এখনো ১৮০-১৮৫ টাকা করে কেজি বিক্রি করার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে খুচরা কয়েকজন ব্যাবসায়িদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, চাহিদা অনুযায়ী বোতল জাত তেল ডিলাররা দেয় না, ডিলারা সব সময় তেলের আমদানি কম দেখিযে আমাদের ২-১ টি কাটুন দেয়, তাও ৫ লিটারের বোতল জাত, যাহা সব মানুষের হাতের নাগালে, তাছারা খোলা তেলের ও সংকট তাই একটু দাম বেশি, অথচ গোপন সুত্রে, আমরা জানতে পারি পুরানবাজারের তেলের ডিলাররা গোপণীয় গোডাউনে প্রচুর পরিমান তেল মজুত রেখেছে, আর নিজেদের সিন্ডিকেট সক্রিয় রাখতে ৫ লিটার বোতলের তেল গুলি সিমিত পরিমানে বাজারে রপ্তানী করছে বলে অনেকেই বলেন। সাধারণ মানুষ আরো বলেন বাজার মনিটরিং না করায় এবং ভোক্তা অধিকারের তদারকি না থাকায় ডিলাররা সিন্ডিকেট তৈরি করে তেলের বাজারে হাহাকার করে তুলেছে, ঠিক একই চিত্র দেখলাম, পাল বাজার, বিপণীবাগ বাজার, ওয়ারলেস বাবুরহাটসহ শহরের প্রতিটি বাজারে, একই রকম দেখা যায়, হাজীগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ মতলব উত্তর, শাহরাস্তি, কচুয়া,হাইমচর, ফরিদগঞ্জ থানার বাজার গুলিতে। এই ছিল শুক্রবারের বাজারদর। কিন্তু শনিবার বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি তেলের দাম ১০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি করছে। অধিকাংশ দোকানে তালিকায় কোন মূল্য নেই। এদিকে বেকারীগুলোতে খোলা সেমাইয়ের কেজি ১০০ টাকা ও প্যাকেজ জাতীয় ১২০ টাকা করে কেজি দরে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় ৩গুন বেশি।
একদিকে সিন্ডিকেট দ্বারা তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ চলছে, অপর দিকে পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে, চিনি, শোলাবুট, খেশাড়ি ডাল ও চড়াও দামে ছারিয়ে যাচ্ছে, পাইকারি বাজারে চিনি কেজি প্রতি ৭৫ টাকা, শোলাবুট কেজি ৭০-৮০ টাকা, খেশারি ডাল ৭০-৭৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, আর এসব পর্ণ গুলি খুচরা বাজারে ৫-১০ টাকা কেজির পরিমানে বেশি দরে বিক্রি করছে, তাহলে পবিত্র মাহে রমজানে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে থাকবে বলে মানুষ জানান।
এদিকে সরকারিভাবে টিসিবির পন্য বিক্রি শুরু হলেও ২ কেজি হারে তেল, চিনি, আর মুশড়ি ডালে অনেকেরই মাস যাবে না, যার কারনে বাধ্য হয়ে বাজার থেকে খাদ্য পন্যগুলি আবার কিনতে হবে বলে অনেকেই বলেন, তাছাড়া নিত্য দিনের চালের বাজার এখনো নিয়ন্ত্রণ হয়নি, মোটা চালের কেজি এখনো ৫০ টাকার উপরে রযেছে, তার সাথে গরুর মাংস ৬০০-৬৫০ টাকা, বয়লার মুরগীর কেজি ১৫৫-১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেরেছে ডিমের বাজার ১৮০-১৯০ টাকা কুড়ি বিক্রি হচ্ছে, পেয়াজ রসুন, আধার বাজার কিছুটা কমলেও, বেরেছে, সবজির দাম,কাঁচা সবজির মধ্যে, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০টাকা কড়লা-৬০-৭০ টাকা বেন্ডি ৬০ টাকা। কালো বেগুন ৬০-৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, তবে টমেটু আর আলুর দাম নিয়ন্ত্রনে আছে। আগামিকাল থেকে পরিত্র মাহে রমজান, এখন থেকে কর্তৃপক্ষ বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না করলে অসাধু ব্যবসায়ী সহ সিন্ডিকেটরা খাদ্য সামগ্রীর উপরে মানুষের গলা কেটে কোটি টাকা হাতিযে নিবে, বর্তমানে সাধারণ মানুষের খেয়ে বেচে থাকাটা অনেক দুস্কর হয়ে পরেছে, আর তাই এ বিষয়ে আজই ব্যবস্থা নেবার দাবি জেলাবাসী।