মাদরাসা শিক্ষকদের দাবি নিয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

মাদরাসা শিক্ষকদের দাবি দাওয়া সঠিক সময়ে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ (স্বামাশিপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান বক্তা ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।

সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনাদের যে আবেদন যা আমি বুঝতে পেরেছি, সেটি লিখে নিয়েছি। সময় সুযোগ মতো সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, আমার যা করার সেটা অবশ্যই করবো। আমার জন্য দোয়া করবেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, আজকে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই বাংলাদেশ এগোয়নি। কোনো মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। দরিদ্রের হার কমে গেছে। কি বিশাল পরিবর্তন। বাংলাদেশকে এখন সবাই সম্মানের চোখে দেখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের সেবা করেছেন। যে মানবতার সেবা করে সেই তো ইসলামের সেবক। বঙ্গবন্ধু তো মানবতার কাজই করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী একই কাজ করছেন। এ সময় প্রত্যেক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে স্বাবলম্বী হয়ে গড়ে ওঠার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন মন্ত্রী।

শিক্ষকদের দাবিগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ইবতেদায়ী পর্যায়ে উপবৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। আমরা কমিটি করে দিয়েছি। তাদের নির্দেশনার আলোকে এটি দূর হয়ে যাবে।

উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, উৎসব ভাতা সরকারের সক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল। আমি আপনাদের হয়ে দেন দরবার করবো যা কিছু যৌক্তিক। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। সরকার সবকিছু বিবেচনায় নেবে। জাতীয়করণের বিষযে সারাদেশে আলাপ আছে। সরকারের জন্য এটি বিশাল পদক্ষেপ হবে সন্দেহ নেই। প্রতিদিন প্রতিষ্ঠান গজাচ্ছে। আমাদের মান দেখতে হবে। কীভাবে প্রতিষ্ঠা হল, কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিল এবং কীভাবে পাঠদান করছে। আর যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে তাদের মান আগে কেমন ছিল এখন কেমন সব বিষয় নিয়ে গবেষণার দরকার আছে। সে অনুযায়ী দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *