লঞ্চ থেকে দুই শিশুকে মেঘনায় ফেলে দেয়ার ঘটনায় মামলা

মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে দুই শিশু উদ্ধারের ঘটনায় এমভি ইমাম হাসান-৫- এর স্টাফদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। রোববার রাত ৯টার দিকে মুক্তারপুর নৌপুলিশের ইনচার্জ মো: লুৎফর রহমান মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেন।

সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদী থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করেন গজারিয়া থানার ওসি রইস উদ্দিন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ভাড়া দিতে না পারায় চাঁদপুরগামী এমভি ইমাম হাসান ৫-এর স্টাফরা শাকিব (১২) ও মেহেদি হাসান দে (১৩) নামের দুই শিশুসহ চারজনকে হত্যার উদ্দেশে ধাক্কা মেরে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
শিশু শাকিব ও মেহেদি হাসান পানি বিক্রির জন্য সদরঘাট থেকে চাঁদপুর যাওয়ার জন্য এমভি ইমাম হাসান-৫ লঞ্চে ওঠে। কিন্তু তাদের কাছে ভাড়ার টাকা না থাকায় ওই লঞ্চের স্টাফরা তাদের মাঝ নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই লঞ্চের অজ্ঞাতনামা স্টাফদের আসামি করে এ মামলা করে মুক্তারপুর নৌপুলিশ।

গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে স্পিডবোটে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ সদরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যাওয়ার পথে তিনি জানতে পারেন দুই শিশু নদীতে পড়ে যাওয়ার খবর। এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় শাকিব ও মেহেদি হাসান নামের দুই শিশুকে (পানি বিক্রেতা) উদ্ধার করেন। পরে তাদের মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলেন এবং সদরঘাটগামী এমভি আল-বোরাক নামের অপর একটি লঞ্চে তাদের উঠিয়ে দেয়া হয়।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের কেরানি আল আমিন ও মাস্টার দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানি-রুটি বিক্রেতারা মনে করেছিল লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হবে। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট অতিক্রম করলে গজারিয়া লঞ্চঘাটে যাওয়ার জন্য দুই শিশু স্বেচ্ছায় মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেয়। তাদের কাছ থেকে লঞ্চ ভাড়া চাওয়া হয়নি। দুই শিশু নদীতে ঝাঁপ দেয়ার ঘটনা যাত্রীদের মাধ্যমে জানতে পারি। ভাড়া না দেয়ায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *